উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক (জুন ০৯): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন মুলতবি প্রস্তাব তুলে নেয়ার মাধ্যমে বিরোধী দল আলোচনার পথ বন্ধ করছে বলে মন্তব্য করলেন, ঠিক তখনই স্পিকার বললেন উল্টো কথা। তিনি বললেন, “বাজেট আলোচনার সময় বিরোধী দলের বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সুযোগ সীমিত। তবে বাজেট পাসের পরও কয়েকদিন সংসদ অধিবেশন চলবে, তখন আলোচনার সুযোগ আছে’।
শিরীন শারমিন শনিবার সাংবাদিকদের একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, ‘বিরোধী দল চাইলে যেকোনো আলোচনার সুযোগ দেয়া হবে’। গত মাসে দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
আগামী নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে দুই প্রধান দলের বিপরীত অবস্থানে সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশন শুরুর দিন ‘তত্ত্বাবধায়ক’ ফিরিয়ে আনার দাবিতে জমা দেওয়া মুলতবি প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয় বিএনপি।
গত ২২ মে সংসদ সচিবালয়ে ওই প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। কার্যপ্রণালী বিধির ৬২ বিধিতে দেওয়া ওই নোটিসে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রস্তাব রাখা হয়েছিল।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত হওয়ায় এখন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।
তবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না দাবি করে নিদর্লীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বিরোধী দল।
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং ইন বাংলাদেশ পার্লামেন্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্পিকার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
সংসদে বিরোধী দলের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে- বিএনপির এই অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলেন, “স্পিকারের চেয়ারে থেকে পক্ষপাতের সুযোগ নেই।”
৮৩ দিন বর্জনের পর সংসদের চলতি অধিবেশনে ফেরা বিএনপি কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে গত বুধবার ওয়াক আউটের পর সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে এই বলে যে, বিরোধী দলের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিন দফা ওয়াক আউট করেছে বিএনপি।
শিরীন শারমিন সাংবাদিকদের বলেন, “সুনির্দিষ্ট বিধি নিয়ে একটি কনফিউশন তৈরি হয়েছিলো। আমি তাদের পয়েন্ট অব অর্ডার ফরমুলেট করতে বলেছিলাম। তাদের প্রতি কোনো বৈষম্য করা হয়নি।”
বিরোধী দল বাজেট উপস্থাপনের সময় না থাকলেও পরের কার্যদিবসে থাকবেন বলে আশা করছেন স্পিকার।