উইমেন চ্যাপ্টার: ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক শিনাওয়াতকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর বাণিজ্য মন্ত্রী নিওয়াথামরুং নসংপাইসানকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডে গত কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থার মাঝেই সাংবিধানিক আদালতের আজকের এই রায় এলো।
থাই রাজধানী ব্যাংককে সাংবিধানিক আদালতের বিচারক চারুন ইন্তাচান তার রায় ঘোষণা করে বলেন, “সাংবিধানিক আদালত একমত হয়ে রায় দিচ্ছে যে মিস ইংলাক প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান থোয়াই প্লিয়েনস্রিকে নিয়মবহির্ভূতভাবে বদলি করেছেন। এই বদলির ফলে প্রধানমন্ত্রীর একজন আত্মীয় উপকৃত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইংলাক শিনাওয়াত থাইল্যান্ডের সংবিধানের ২৬৮ ধারা ভঙ্গ করেছেন।”
তবে আদালতে হাজিরা দেয়ার সময় মিস ইংলাক তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার সমর্থকদের প্রতি ধন্যবাদ জানান এবং তাদের মনে করিয়ে দেন যে, তিনি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একজন নেতা।
ওদিকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা বলছেন, আজকের রায়ের আগেই তার ক্ষমতা ছাড়া উচিত ছিল। একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি কোন দায়িত্বের পরিচয় দেননি। আসলে অনেক আগেই তার সরে যাওয়া উচিত ছিল। আমি খুশি হয়োছ যে আদালত ন্যয়বিচার করেছে।”
প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা নাপ্পাডন পাত্তামা বিবিসিকে বলেছেন, ইংলাক শিনাওয়াত আদালতের এই রায় মেনে নিয়েছেন। তবে তার মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
“আইনের দিক থেকে দেখলে আমি বলবো বিষয়টির মীমাংসা হয়ে গিয়েছে। তবে আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক প্রতিবাদ অব্যাহত রাখাবো। মন্ত্রিসভার বাদবাকি সদস্যরা ভালভাবেই তাদের দায়িত্ব পালন করে যাবেন, এই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে।”
কিন্তু প্রশ্ন হলো, প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সরে গেলেই কী থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হয়ে যাবে?
বিরোধী দলের অনেকেই মনে করছেন সমাধানের সম্ভাবনা কম। মিস ইংলাকের অনুসারীরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা বলছেন।
এই হুমকি যদি তারা সত্যিই বাস্তবায়ন করেন, তাহলে থাই রাজনিীতি আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।