শরিয়ায় নারী, নারীর জন্য শরিয়া?

উইnaree-devine-stone_6816মেন চ্যাপ্টার: শুক্রবার বাংলাদেশ উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হয়ে গেল শরিয়া আইনে নারীর অবস্থান নিয়ে তৈরি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র নারী’র প্রদর্শনী। ছবির মূল বক্তব্য, ইসলামি শরিয়া আইনের দোহাই দিয়ে নারীকে যুগ যুগ ধরে গৃহপালিত জীব হিসেবে ঘরের মধ্য বন্দি করা রাখা হয়েছে। এখনও এর ব্যতিক্রম নয়।

ছবিতে দেখানো হয়েছে,

গ্রামে সুখ-শান্তি আসবে বলে চেয়ারম্যান তার ভাতিজা ও মসজিদের ইমাম মিলে চালু করলো ইসলামি শরিয়া আইন। কিন্তু এই আইন হরণ করে নিল নারীর মানবাধিকারটুকুও। সমাজে তার কোন গ্রহণ যোগ্যতা নেই। তার সাক্ষ্যের কোন মূল্য নেই। পুরুষরাই সকল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে। অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে পুরুষকুল। গল্পের শুরুতেই স্ত্রীকে হত্যা করেও একজন পুরুষ প্রয়োজনীয় সাক্ষীর  অভাবে ছাড় পেয়ে যায়। এভাবেই আবর্তিত হয় পুরো গল্প।

এমনই এক সময়ে এলাকার এক বখাটে ধর্ষণ করে চেয়ারম্যানের মেয়েকে। তখনই পুলিশ ডাকার প্রয়োজন হয়, কিন্তু বাদ সাধে শরিয়া আইন। শরিয়া আইনের মারপ্যাচে ধর্ষক প্রথমে মুক্তি পেলেও শেষ পর্যন্ত বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে যাওয়া হয় ধর্ষককে। আর এখানেই আমরা নারীকে ‘ভোকাল’ হতে দেখি। পুরুষরাও তখন নড়চড়ে বসেন।

নারী ছবিতে বিগত সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শরিয়া আইনের ফলে নারী যে হয়রানির শিকার হয়েছে তার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।

 

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.