
উইমেন চ্যাপ্টার: আজ ২৪ শে এপ্রিল, ভয়াবহ সেই দিন। গতবছর আজকের এই দিনে সাভারের রানা প্লাজা ধসে নিহত হয়েছিলেন এক হাজার ১৩৫ জন। আহত হন আরো প্রায় আড়াই হাজারের মত।
হাজারো মানুষের শোক, হাজারো বেদনা, হাজারো স্বপ্ন সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে এই দিনটিকে ঘিরে। বিশ্ব মানবতাও সেদিন সৃষ্টি করেছিল অনন্য এক ইতিহাস। মানুষের জন্য মানুষ-এই ধারণাটিই সেদিন বাস্তব হয়ে উঠেছিল একটিমাত্র ভবনকে ঘিরে।
দুর্ঘটনার একবছর পূরণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নিহত শ্রমিকদের শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, পোশাক কারখানার শ্রমিক, পেশাজীবী, সাধারণ জনগণ, আহত-নিহতদের স্বজন ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের সামনে জড়ো হন। বেলা বাড়ার সঙ্গে ওই এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। থেমে যায় সড়কে যান চলাচল।
এ সময় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং হাজার হাজার শ্রমিক ঢাকা-সাভার মহাসড়কে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন। তারা মূলত রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার ফাঁসি এবং হতাহতদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।
এদিকে ভয়াবহ ট্রাজেডির এক বছর কেটে গেলেও থামেনি স্বজনহারাদের কান্না আর হাহাকার। নিখোঁজ শ্রমিকদের ছবি হাতে এখনো অভিশপ্ত রানা প্লাজার সামনে প্রিয় স্বজনদের খোঁজে ভিড় করছেন হতভাগ্য অনেকে। অনেকের হাতেই প্ল্যাকার্ড। নিখোঁজ শ্রমিকদের ভাগ্যে কোনো ক্ষতিপূরণ জোটেনি। কেউ হারিয়েছেন আদরের সন্তান কেউ বা প্রিয় স্বামী, কেউ বা বোন, কেউ বা মা, কেউ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবাকে। আহতদের অনেকে আজও আতঙ্কগ্রস্ত৷ পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পাননি ক্ষতিগ্রস্তরাও।
এদিকে, রানা প্লাজার হতাহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে নতুন করে চাপের মুখে পড়েছে পশ্চিমা বিশ্বের পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এবং ব্র্যান্ড কোম্পানিগুলোও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ প্রাথমিকভাবে ৪০ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হলেও এ পর্যন্ত কোম্পানিগুলো ১৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে।