
উইমেন চ্যাপ্টার: বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামীকে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ, র্যাব এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ একযোগে নারায়ণগঞ্জ, রাজধানী ঢাকাসহ এর আশপাশের কয়েক জেলায় অভিযান পরিচালনা করলেও এখন পর্যন্ত কোনো হদিস পাচ্ছেন না তারা। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আবু বকর সিদ্দিককে উদ্ধারের ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি নেই। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।
রিজওয়ানা তাঁর অভিযোগে বলেছেন, তার স্বামী ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিককে অপহরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা হওয়ার পর তাকে খুঁজতে পুলিশি অভিযান চলছে।
পেশায় ব্যবসায়ী মিস্টার সিদ্দিক বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে ব্যক্তিগত গাড়িতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন । গাড়িটি ফতুল্লায় ভুঁইয়া ফিলিং স্টেশনের কাছে আসার পর একটি নীল রংয়ের মাইক্রোবাস তাতে ধাক্কা দেয়। গাড়ি চালক এবং মিস্টার সিদ্দিক গাড়ী থেকে নামলে অস্ত্রধারী কয়েকজন চালককে আঘাত করে মিস্টার সিদ্দিককে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারে কার্যালয়ে ছুটে যান রিজওয়ানা। তিনি তখন বলেন, তাঁর জানা মতে তাঁর স্বামীর কোনো শত্রু নেই। “আমরা এমন কোন বড়লোকও নই যে চাঁদাবাজির জন্য তাকে অপহরণ করা হবে। আমার ধারণা, আমার পেশাগত কারণে ক্ষুব্ধ কোনো গোষ্ঠী অপহরণ করতে পারে”।
সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, “আমার ধারণা, আমার পেশাগত কারণে ক্ষুব্ধ কোনো গোষ্ঠী অপহরণ করতে পারে”। এই অপহরণের সাথে কারা জড়িত থাকতে পারে সে বিষয়ে কাউকে সন্দেহ করছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা বলেন, “আমার জানামতে তাঁর কোন ব্যক্তিগত শত্রু নেই, গত বিশ বছরে আমি শুনিনি। সে অত্যন্ত সজ্জন, ভদ্র, সুশীল বলতে যা বোঝায় তেমন মানুষ । আমরা এমন কোন বড়লোকও নই যে চাঁদাবাজির জন্য তাকে অপহরণ করা হবে। আমার পেশাগত কারণে অনেক মানুষের অর্থনৈতিক স্বার্থে আঘাত লেগেছে। যারা বিভিন্ন সময়ে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, প্রতিহিংসাপরায়ণ রিপোর্ট করেছেন-এই একটা বিষয় ছাড়া আমি আর কিছু ভাবতে পারছিনা”।
রিজওয়ানা হাসান ও তার প্রতিষ্ঠান পরিবেশ আইনজীবী সমিতি বা বেলা পরিবেশ বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত সুপরিচিত। বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প বা শিপ ব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রি কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে তিনি এবং তার প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত সোচ্চার।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালী গোষ্ঠী কর্তৃক নদী বা ভূমি দখল বা নদীতে বাঁধ নির্মাণসহ পরিবেশের বিভিন্ন ইস্যুতে অনেক জনস্বার্থ মামলা রয়েছে তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।