আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি

Pataka 4উইমেন চ্যাপ্টার: একসাথে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে আজ গিনেজ বুকে রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। আজ ২৬শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবসটি এভাবেই মহিমান্বিত হয়ে থাকবে ইতিহাসজুড়ে। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পার করছে দেশ ও জাতি। একদিকে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম চলছে, অন্যদিকে দেশপ্রেমের নতুন রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। জয়তু বাংলাদেশ।

চৈত্রের খরতাপ উপেক্ষা করে আজ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সমবেত হয়েছিল লাখ লাখ মানুষ। মাথায় তাদের লাল-সবুজ ক্যাপ, হাতে পতাকা, মাথার ওপরে স্বাধীনতা দিবসের সূর্য, জাতীয় প্যারেড ময়দানে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন নারী-পুরুষ, কিশোর-কিশোরী, তাদের মাঝে উপস্থিত খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সবার কণ্ঠে এক সুর- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।

মূহূর্তেই এক অপরূপ মূর্চ্ছনা ছড়িয়ে গেল দেশ থেকে দেশান্তরে। প্রবাসী বাংলাদেশিরাও সময়টা মাথায়  রেখে একই সাথে গাইলো জীবনের এই গান। ফেসবুকে কানাডা থেকে একজন লিখলেন, সবার সাথে গলা মেলালাম জাতীয় সঙ্গীতে। মনে হলো, আমিও ওই প্যারেড গ্রাউন্ডেই আছি।

২০১৩ সালের ৬ মে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে গিনেজ বুকে স্থান করে নিয়েছিল সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার (ভারত)। ওই আয়োজনে ১ লাখ ২১ হাজার ৬৫৩ জন অংশ নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের আয়োজনে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল তার দ্বিগুণেরও বেশি।

কেবল মাঠেই নয়, প্যরেড গ্রাউন্ডের বাইরে এবং রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে যেখানে ছিলেন, সবাই দাঁড়িয়ে শামিল হয়েছেন এই আয়োজনে, কণ্ঠ মিলিয়েছেন সোনার বাংলায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সাংসদ, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট নাগরিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সেনা সদস্য, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পোশাকশ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লাখো মানুষ প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত হয়ে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে ঠোঁট মেলান।

সংগীত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট সুরকার স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শব্দসৈনিক সুজেয় শ্যাম।

‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড করতে আজ ভোর থেকেই জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড অভিমুখে লাখো মানুষের ঢল নামে। দীর্ঘ লাইন ধরে প্যারেড গ্রাউন্ডের ভেতরে প্রবেশ করেন নানা শ্রেণী-পেশার লাখো মানুষ। এসময় প্রত্যেককে একটি ব্যাগ দেওয়া হয়। এতে জাতীয় পতাকা, গানের বাণী ও প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা লেখা কার্ড, পানির বোতল, স্যালাইন ইত্যাদি ছিল।

ময়দানে প্রতি ৫০ জন লোককে নিয়ে একটি ব্লক করা হয়। মোট ব্লক ছয় হাজার।

শেয়ার করুন: