
উইমেন চ্যাপ্টার: রাখে আল্লাহ, মারে কে! কথাটা সত্য কি মিথ্যা জানি না। তবে বিশ্বাস করি, আয়ু থাকলে কোন বাধাই বাধা হয় না মানুষের জীবনে। হুমায়ুন কবির ও শারমিন আক্তারের জীবনেও তাই প্রমাণ হলো।
রানা প্লাজা ধসে বেঁচে যাওয়া এই দুজন ১৪ মার্চ শুক্রবার বেশ ধুমধাম করেই নতুন জীবনে পা রাখলেন। বিয়ে করলেন তারা। দুজনেই শ্রমিক, দুজনই রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় কমবেশি আহত হয়েছিলেন। কিন্তু প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই আজ নতুন করে স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছেন।
রানা প্লাজার আহতদের নিয়ে গড়ে তোলা নতুন অ্যাডভেঞ্চার অপরাজেয় কারখানার বর্তমান কোয়ালিটি চেকার হুমায়ুন কবির এখন অনেকটাই সুস্থ। আর শারমিন আক্তার পায়ের গোড়ালিতে ব্যাথা পেয়েছিলেন, এখনও খুঁড়িয়ে হাঁটেন। শিগগিরই তিনিও যোগ দিতে যাচ্ছেন অপরাজেয়তে।
অপরাজেয়’র মূল উদ্যোক্তাদের একজন মনির হোসেন রিন্টু তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যখন রানা প্লাজা দুর্ঘটনা ঘটলো, তখন সবাই ব্যস্ত ছিলেন হতাহতের সংখ্যা নিয়ে, কিন্তু আমরা কেউই ভাবিনি ওই দুর্ঘটনায় কতগুলো স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছিল, কতজনের আশাভঙ্গ হয়েছিল! এই মানুষগুলোর জীবন আমাদের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে, কিন্তু এই এরাই বার বার আমাদের চোখে দেখিয়ে দেয়, তারাই আসলে জীবনের মূল জয়ী মানুষ। কঠিন জীবন থেকে, ছাইভস্ম থেকেও উঠে দাঁড়াতে পারে তারা’।
জয় হোক হুমায়ুন-শারমিনের, জয় হোক মনুষ্যত্বের।
Please keep thwroing these posts up they help tons.