উইমেন চ্যাপ্টার: ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘গুন্ডে’তে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ এনে অবিলম্বে সরকারের পক্ষ থেকে এর জোর প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। একই সাথে এ চলচ্চিত্রের ‘বিকৃত অংশ’ কর্তন এবং সংশোধন না করা পর্যন্ত বাংলাদেশে এর বিপণন নিষিদ্ধ করারও দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ সোমবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
পাশাপাশি ‘গুন্ডে’তে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের যে বিকৃতি ঘটানো হয়েছে তা সংশোধন না হলে ভারতীয় পণ্য বর্জনসহ আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুমকিও দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, এ ব্যাপারে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেয়া হলে ভারতীয় চলচ্চিত্র, পণ্য ও টিভি চ্যানেল আমরা বাংলাদেশিরা আর দেখব কি না, তা ভেবে দেখব।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতীয় চলচিত্র ‘গুন্ডে’তে ইতিহাস বিকৃত করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহায়তার ব্যাপারে আমরা কৃতজ্ঞ। ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেই সময় ভারত আমাদের শরণার্থীদের সহায়তা করেছে, আমাদের সরকারকে তাদের ভূখণ্ডে কার্যক্রম চালাতে দিয়েছে বলে আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু সাত কোটি বাঙালি জীবন বাজি রেখে যে যুদ্ধ করেছে, বাংলাদেশের গৌরবময় সেই মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভারতের কোনো প্রতিষ্ঠান দ্বারা এর বিকৃতি কাম্য নয়। আমরা ইতিহাস বিকৃতির এই প্রবণতার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তারা বলেন, চলচ্চিত্রটির প্রযোজক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে ইতিহাস বিকৃতির জন্য ক্ষমা চেয়েছে। কিন্তু ইতিহাস বিকৃতির অংশটুকু প্রত্যাহার করেনি।
সমাবেশে সরকার ও চলচ্চিত্রটির প্রযোজক প্রতিষ্ঠানটির কাছে তিন দফা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এগুলো হলো- ‘গুন্ডে’ চলচ্চিত্র থেকে বিকৃত অংশটুকু প্রত্যাহার, সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত ‘গুন্ডে’ সিনেমার সকল বিপণন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা, ভারতীয় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকরণের সকল অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের তরফ থেকে যথাযথ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী আরিফ জেবতিক, সঙ্গীতা ইমাম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লাকি আক্তার প্রমুখ।