উইমেন চ্যাপ্টার: স্পেনের ইতিহাসে এই প্রথম আদালতে যেতে হয়েছে রাজপরিবারের কোনো সদস্যকে। স্পেনের রাজা হুয়ান কার্লোসের ছোট মেয়ে স্পেনের রাজকুমারী ক্রিস্টিনার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগে মার্লোকা দ্বীপের একটি আদালতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় বাইরে সমবেত জনতা দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। এ ঘটনায় খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে গোটা রাজ পরিবার।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রিন্সেস ক্রিস্টিনাকে আদালতের পেছনের দরজা দিয়ে আদালতের ভেতরে ঢোকানো হয়। আদালত ভবনের সামনের ফটকের বাইরে এ সময় বিক্ষোভকারীদের স্লোগান দিতে শোনা যায়। এদিকে ক্রিস্টিনার স্বামীকেও তদন্তের অংশ হিসাবে আদালতে হাজির হতে হয়। তার স্বামী ইনাকি উরদানগারিনের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ ইউরোর সরকারি তহবিল তছরূপের অভিযোগে গত একবছর ধরেই মামলা চলছে।
রাজা হুয়ান কার্লোসের কনিষ্ঠা কন্যাকে জালিয়াতি ও অর্থপাচারের জন্য সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, নুস নামে অলাভজনক একটি সংস্থা সরকারের ঠিকাদার হিসাবে বেশ কয়েকটি খেলাধূলার অনুষ্ঠান আয়োজন করে এবং প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানের জন্য সংস্থাটি বিপুল পরিমাণ অর্থ নেয়। আর এই সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনার স্বামী।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ক্রিস্টিনার স্বামী সাড়ে ৫ মিলিয়ন ইউরোর বেশি অর্থাৎ প্রায় সাড়ে সাত মিলিয়ন ডলার তছরূপ করেছেন। প্রিন্সেস ক্রিস্টিনা ব্যক্তিগত ব্যয় দেখিয়ে এই অর্থের একটা অংশ খরচ করেছেন বলেও অভিযোগ।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, তিনবছর ধরে চলা এই মামলার সব খুঁটিনাটি বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং এই কেলেঙ্কারি স্পেনের রাজপরিবারের ভাবমূর্তিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।