তুরিন আফরোজ:গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার মামলার রায় ঘোষণা করার দিন ধার্য করে। ৭১ টিভিতে সকাল ১১টা থেকে লাইভে থাকার কথা আমার। অনেক কাংখিত একটি দিন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে ট্রাইব্যুনালের প্রতিটি মামলার গতি প্রকৃতি এবং আইনী যুক্তি-তর্ক পর্যবেক্ষণ করা আমার দায়িত্ব। উপরন্তু ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর থেকেই প্রসিকিউশন এবং তদন্ত টিমকে অনানুষ্ঠানিক অপরাধ আইন বিষয়ে গবেষণার জন্যও কাদের মোল্লার রায়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার কাছে। এর আগেই যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকারের মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে। তবে সেখানে আইনজীবী সরকার নিযুক্ত হওয়াতে দুই পক্ষের আইনী যুক্তির লড়াইটি তেমন জমেনি বলেই মনে হয়েছে সবার কাছে। তাই যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায়ের জন্য একটু বেশি উদগ্রীব ছিলাম।
যে কোন লাইভ প্রোগ্রামে যাওয়ার আগে আমি প্রস্তুতি নিয়ে যাই। ৫ ফেব্রুয়ারি ৭১ টিভির লাইভ শো’র জন্য নিজের প্রস্তুতি ছিল। একটি ছক কাটলাম রায়ের সম্ভাব্য সব পরিণতি নিয়ে। ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন অনুযায়ী অপরাধ প্রমাণ হলে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত। মনে মনে হিসেব কষলাম অন্তত একটি অপরাধও যদি প্রমাণ করা সম্ভব হয়, মৃত্যুদণ্ড অবধারিত। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার নিষ্ঠুর অপকর্মের কথা সর্বজনবিদিত। সুতরাং মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল সকলেরই।
তবে রায়ের আগের রাত থেকেই মনে একটা আশঙ্কা উঁকি দিচ্ছিল। আচ্ছা যদি এমন হয়, অপরাধ প্রমাণিত হলো, হয়ত একটিরও বেশি, কিন্তু কোন কারণে মাননীয় ট্রাইব্যুনাল যদি মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন বা অন্য কোন শাস্তি দেয়? কি হবে তাহলে? ১৯৭৩ সালের আইনটির আপীলের বিধানটি আমার কাছে সবসময়ই অপূর্ণ মনে হতো। নিজের লেখায় এবং বক্তৃতায় অনেকবারই এই অপূর্ণতা তুলে ধরেছি। হিসেবমতো কাদের মোল্লার রায়ে যদি মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়, তাহলে রাষ্ট্রপক্ষ সফল হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে। এক্ষেত্রে কাদের মোল্লা আপীলে রাষ্ট্রপক্ষের কাজ অপেক্ষাকৃত সহজ হয়ে যাবে। অন্যদিকে, যদি কোন কারণে বিপর্যয় ঘটে, প্রসিকিউশন অপরাধ প্রমাণে ব্যর্থ হয় এবং কাদের মোল্লাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়, তবে রাষ্ট্রপক্ষ জোর আপীল চালাবে সুপ্রীমকোর্টে। কিন্তু যদি মাননীয় ট্রাইব্যুনাল অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে বলে সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে অন্য যে কোন শাস্তি দেয়, তাহলে তো মহাসর্বনাশ। কারণ রাষ্ট্রপক্ষের আর কিছুই করার থাকবে না। ১৯৭৩ সালের আইনে তো এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের আপীল করার সুযোগই নেই। কি হবে তাহলে? অসহায় এবং অস্বস্তি বোধ করলাম আইনের অপূর্ণতায়। তবে মনকে বোঝালাম, ধর, এই পরিস্থিতি হয়ত আসবেই না।
৭১ টিভিতে যথারীতি লাইভ শো-তে উপস্থিত হলাম। সকাল থেকেই একটা সাজ সাজ রব ছিল চারদিকে। মিডিয়াতে তো বটেই। নির্মূল কমিটির একটি বড় পর্যবেক্ষক দল ট্রাইব্যুনাল কক্ষে উপস্থিত সকাল থেকেই। তাদের সঙ্গে সরাসরি রায়টি প্রত্যক্ষ করতে পারছিলাম না বলে মনটা একটু খারাপই ছিল। শাহরিয়ার কবির ভাই বিদেশে অবস্থান করছিলেন। মুনতাসীর মামুন ভাই অঞঘ ঘবংি চ্যানেলের লাইভ শো তো সারাদিন থাকবেন। সুতরাং ৭১ টিভিতে সময় দেয়ার জন্য নির্মূল কমিটিও আমাকে নির্দেশ দেয়।
৭১ টিভিতে লাইভ শুরু হলো আমাকে অতিথি বানিয়ে। উপস্থাপক বুশরার সঙ্গে বারিধারা স্টুডিওতে আমি। ট্রাইব্যুনাল থেকে রিপোর্ট করছিল মিল্টন আনোয়ার। একটু করে রিপোর্ট, একটু করে খবর, একটু করে পর্যালোচনা আর মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপন বিরতি চলছিল। যুদ্ধাপরাধ আইন ও প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে চলছিল আমার আর বুশরার কথোপকথন। রায় নিয়ে উদগ্রীব পুরো জাতি। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজনের রায় নিয়ে প্রত্যাশার কথাও জানাচ্ছিল লাইভে। মিল্টন একবার লাইভে রিপোর্ট করল মাননীয় টাইব্যুনাল রায় পাঠ করা শুরু করেছে। নড়েচড়ে বসলাম। ট্রাইব্যুনাল কক্ষটির চিত্র মনে মনে কল্পনা করলাম। সকলেই নিশ্চয় অধীর আগ্রহ নিয়ে রায় শুনছে। একটু পর পরই মিল্টন লাইভে আপডেট দিচ্ছিল। জানা গেল কয়েকটি অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। বুকের ভেতর একটা চাপা উত্তেজনা হচ্ছিল। মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে নিশ্চিত। অন্তত একটি অপরাধ তো মৃত্যুদণ্ড হবেই।
কিন্তু এ কি! কি বলছে মিল্টন? অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও শাস্তির যে লিস্ট বলছে তাতে তো মৃত্যুদণ্ড নেই। আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমি কি ঠিক শুনছি? ৭১ টিভির পুরো স্টুডিওতে সকলে হতভম্ব। বুশরা কথার খেই হারিয়ে ফেলছে। মিল্টনের কতা গুলিয়ে যাচ্ছে। ট্রাইব্যুনাল থেকে বেরিয়ে সকলে হতাশা আর ক্ষোভের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। আর আমি? ভুলে গেলাম আমি একটি টিভি চ্যানেলের পর্দায়। ভুলে গেলাম একটি লাইভ শো-তে আমি অতিথি হিসেবে উপস্থিত। তাহলে কি আমার আশঙ্কাই সত্যি হলো? আমার সামনে ক্যামেরা। চোখ ঝাপসা হয়ে উঠছে। বহু কষ্টে কান্না থামানোর চেষ্টা করছি। মাথাটা খালি খালি লাগছে। বুশরা আমার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইল লাইভে। আমি একটু দম নিয়ে কান্না চেপে বিরস কণ্ঠে বললাম ‘আমি হতাশ, আমি মর্মাহত। এই রায় আমাকে হতাশ করেছে। যদিও পুরো রায়টি আমি দেখিনি, দেখলে হয়ত আরেকটু বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানাতে পরতাম।
ভীষণ মুষড়ে পড়লাম। একাত্তরের শহীদদের কথা মনে পড়ল। নির্যাতিত নারীদের কষ্টের এক একটি মুহূর্তের কথা মনে পড়ল। মনে পড়ল স্বাধীনতার জন্য বাঙালী জাতির আত্মত্যাগের কথা, শহীদজননী জাহানারা ইমামের কথা। নির্মূল কমিটির নিরলস আন্দোলনের কথাও মনে পড়ল। সবই কি বিফলে গেল? আমরা কি তাহলে স্বাধীন হয়েও পরাজিত হলাম? লাইভ শো-তে কথা বলতে ইচ্ছে করছিল না। স্টুডিওর টিভিতে মনিটরে চোখ রাখতেও আর ভাল লাগছিল না। কি হবে এই দেশের? কি হবে এই জাতির? কিছুই হয়ত হবে না, কিছুই না, কোন কিছুই না।
হঠাৎ হন্তদন্ত হয়ে মোজাম্মেল বাবু ভাই স্টুডিওতে ঢুকলেন। অস্থির হয়ে বললেন, তুরিন আপনি বলছেন রাষ্ট্রপক্ষ নাকি আপীল করতে পারবে না এই রায়ের বিপক্ষে। কিন্তু মাননীয় আইনমন্ত্রী এবং এ্যাটর্নি জেনারেল তো খুব দৃঢ়ভাবে মিডিয়াতে বলছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপীল করতে যাচ্ছে। আইন কি বলে? আপনি কি আবেগতাড়িত হয়ে আইনের সঠিক ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না? আমি বললাম, বাবু ভাই, আমি পড়ালেখা করে এসেছি এই ব্যাপারে। আমি নিশ্চিত বর্তমান আইনে এই আপীল সম্ভব নয়। রাষ্ট্রপক্ষ যদি আপীল করতে চায় তাহলে আইনের সংশোধনী আবশ্যক। আপনি আমাকে একটা কম্পিউটার আর ইন্টারনেট-এর ব্যবস্থা করেন, আমি এক্ষুণি আপনাকে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাটি দেখাচ্ছি। টেলিফোনে কাজী মুকুল ভাই ও মুনতাসীর মামুন ভাইকেও ব্যাপারটি বোঝালাম।
এরপর আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা নিয়ে আমি বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা দিলাম ৭১ টিভির লাইভ শোতে। মোটামুটি সব চ্যানেল নিউজ করল ‘বর্তমান আইনের অধীনে রাষ্ট্রপক্ষ কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আপীল করতে পারবে না; আইন সংশোধন জরুরী : একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। একই সঙ্গে নির্মূল কমিটির নেতারাও বিভিন্ন মিডিয়াতে আমাদের এই অবস্থান দৃঢ়ভাবে তুলে ধরল। মাত্র দেড় ঘণ্টার মাথায় অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল প্রেস ব্রিফ করলেন যে আসলেই বর্তমান আইনের অধীনে আপীল করতে পারবে না রাষ্ট্রপক্ষ আইনে সংশোধনী আনা হতে পারে।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো। সন্ধ্যায় কয়েকটি টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম। মুকুল ভাই ফোন দিলেন। বললেন, তুরিন, শাহবাগে একটি বিপ্লব হচ্ছে ভয়ানক কাণ্ড, তরুণ ছেলেমেয়েরা সব মানববন্ধন করেছে। ওরা জয় বাংলা স্লোগান দিচ্ছে। ওরা রায় মানবে না। ওরা রাজপথেই থাকবে। নির্মূল কমিটির থেকে শামীম আপা (চলচ্চিত্রকার শামীম আক্তার) আর আল-আমীন বাবু ওদের সঙ্গে আছে। আপনি রাতের টকশো শেষ করে শাহবাগে চলে যান। ওখানকার আপডেট জানান। আমি বললাম বাংলা ভিশনে রাতের টকশো শেষ করেই আমি শাহবাগে যাব।
একটার পর একটা টিভি চ্যানেলে ঘুরছি আর শাহবাগের নিউজ দেখছি টিভির পর্দায়। তারুণ্যদীপ্ত সব চেহারা, প্রত্যয়ী কণ্ঠে শ্লোগান দিচ্ছে। ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই বলছে। মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান দিচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের গান গাইছে। আরে এত মানুষ কোথা থেকে এলো? এরা সবাই-ই কি হৃদয়ে ’৭১ নিয়ে বেঁচে আছে এবং থাকতে চায়? ফোনে কথা হলো শামীম আপা আর আল আমীন বাবুর সঙ্গে কয়েকবার। বললাম রাতে টকশো শেষ করেই শাহবাগ আসছি। বাবু ভাই অপেক্ষা করে থাকবে জানাল।
৫ ফেব্রুয়ারি রাত প্রায় দেড়টায় আমি শাহবাগের গণজাগরণে শামিল হই। চেনা শাহবাগ যেন অচেনা এক রূপ ধারণ করেছে। বড় পর্দা টাঙ্গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ছবি প্রদর্শনী চলছে। রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে পথ নাটক চলছে। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে শ্লোগান চলছে। মোমবাতি আর আল্পনার অপূর্ব কারুকাজ। যেদিকে তাকাই লাল-সবুজের সমাহার। সকল বয়সের নারী-পুরুষ সমাগত। সকলের মুখে জয় বাংলা স্লোগান। আমি বিস্মিত! আমার একাত্তর মূর্ত হয়ে উঠেছে। আমরা এই বাংলাদেশকেই তো খুঁজে ফিরেছি। মুক্তিযুদ্ধের অমর চেতনায় সাহসী এক বাংলাদেশ! এ আমাদের বাংলাদেশ, আমার ভালবাসার বাংলাদেশ!
সেদিন শাহবাগে অনেকের সঙ্গে পরিচিত হলাম। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার কিছু ছাত্রেরও দেখা পেলাম। বাবু ভাই সব ঘুরে দেখাল। ফেরার সময় কিছু তরুণ ছেলেমেয়ে আমার হাতে দুটো বিরিয়ানি প্যাকেট দিয়ে বলল, আপা আপনার আর আপনার গাড়িচালকের জন্য, নিশ্চয়ই না খেয়ে আছেন? আমি ভীষণ লজ্জায় পড়ে গেলাম। বললাম, তোমরা বাড়ি ফিরছ না, রাতে তোমাদের লাগবে, আমি তো বাড়ি ফিরেই খেতে পারছি। কিন্তু কিছুতেই শুনল না ওরা। গভীর রাতে ফিরে আসলাম শাহবাগ হতে।
পরদিনও শাহবাগে গেলাম। সেদিন সঙ্গে প্রথম আলোর সোহরাব ভাই, ঘুরে দেখলাম পুরো এলাকা। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর। ফাঁসির প্রতীকী মঞ্চ, রাজাকারদের ব্যঙ্গচিত্র, ব্যানার, ফেন্টুন দাবি একটাই, যুদ্ধাপরাধীদের সুষ্ঠু বিচার চাই। এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিটি দিনই শাহবাগে গিয়েছি কখনও নির্মূল কমিটির মিছিল নিয়ে, কখনও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে, কখনও বা বন্ধুদের সঙ্গে, কখনও জানাজায় শামিল হতে, কখনও বা একা সম্পূর্ণ একা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে বার বার খুঁজে ফিরতে।
গত বছর ২০ ফেব্রুয়ারি টাইব্যুনালে আমাকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। গণজাগরণ মঞ্চ সংগঠিত হওয়ার ঠিক ১৫ দিনের মাথায়। শাহবাগে যাওয়া আসা কমলো কাজের চাপে। নিরাপত্তাহীনতা উটকো ঝামেলা হয়ে দেখা দিল। একের পর এক আক্রমণের মুখে আমার চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে বাধ্য করা হলো। আমি নিষেধ না মেনে, নিরাপত্তাহীনতা উপেক্ষা করে তবুও ছুটে গেছি। কিন্তু ইমরান, বাঁধন, মারুফ, অরণ্য ১০/১৫ মিনিট পর আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। বলেছে, আপা, তুমি এসেছ, খুশি হয়েছি, কিন্তু এখন যাও। তোমার কোন বিপদ হোক আমরা চাই না। এখন তোমার আইনী লড়াইটা আমাদের জন্য অনেক জরুরী। তোমাকে আমাদের জন্য, আমাদের আন্দোলনের জন্য বাঁচতে হবে।
গত একটি বছর ধরে শাহবাগ ঘুমায়নি, শাহবাগ জেগে আছে। শাহবাগ সারা জীবনই জেগে থাকবে। আর জাগব আমিও, শাহবাগের সঙ্গেই কখনও পাশে, কখনও দূরে থেকে। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারুণ্যের ছোঁয়ায় বাংলাদেশ জেগে উঠল। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আদর্শের নতুন কাণ্ডারীরা ইতিহাস পাল্টে দিল। তবুও পথ চলার অনেকটুকুই বাকি বন্ধুর পথ, বিপদসঙ্কুল পথ কিন্তু বিশ্বাস আছে, জয় আমাদের হবেই।
(সংগৃহীত)
লেখক : আইন বিষয়ক সম্পাদক,
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি