বৃহস্পতিবার দুপুরে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আসামিপক্ষের করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “এ রায় গণজাগরণ মঞ্চের বিজয়। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের শুরু করা আন্দোলনের বিজয়।”
দণ্ডিত সব যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি কার্যকরের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি বলেন, “একাত্তরে পাকিস্তানের সহযোগিতকারী জামায়াত-শিবিরকে শুধু নিষিদ্ধ নয়, তাদের সকল শক্তি নির্মূল করতে হবে।”
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ‘যেসব শক্তি’ মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার তাদের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানিয়ে এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, “এগুলো করতে পারলেই আমাদের বিজয় পরিপূর্ণ হবে।”
তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি অনেক বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাও এসে শামিল হন আজকের আনন্দ উৎসবে। তারা নেচে-গেয়ে, স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন।
‘রিভিউ’ আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা ও মূল আবেদনের ওপর দুই দিন শুনানির পর প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বৃহস্পতিবার পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেয়।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার আদেশ হলে শাহবাগে প্রতিবাদী তরুণদের অবস্থান এক সময় লাখো মানুষের সমাবেশে রূপ নেয়।
ছাত্র-জনতার ওই আন্দোলনের মুখে আইন সংশোধন করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের পাশাপাশি প্রসিকিউশনকে আপিলের সুযোগ দেয়া হয়, যার প্রেক্ষাপটে সর্বোচ্চ আদালতে আপিলের রায়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড হয়।
এর আড়াই মাসের মাথায় পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দণ্ড কার্যকরে সব প্রস্তুতির পর শেষ মুহূর্তে আসামিপক্ষের আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।
এরপর সংক্ষুব্ধ হয়ে ওই রাত ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে আবার অবস্থান নেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী-সংগঠকরা।
কয়েক দফায় ওই এলাকায় হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হলেও শাহবাগ মোড়েই লাগাতার অবস্থান চালিয়ে আসেন জাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা।