‘ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান চলবে’

Shahbaghউইমেন চ্যাপ্টার: যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা নিয়ে টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে ফাঁসি কার্যকরের সমস্ত প্রস্তুতি শেষেও শেষমূহূর্তে তা স্থগিত করে দেওয়ার খবরে এমনভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় মঞ্চের সাথে সংশ্লিষ্টরা। তারা জানিয়েছেন, এই খবর শোনার পর তারা আবার শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন, ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা ছাড়বে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে।

১০ মাস আগে এই জামায়াত নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহবাগের অবস্থান দেশজুড়ে গণজাগরণ তৈরি করে, যার প্রেক্ষাপটে আপিলের রায়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়।

মৃত্যু পরোয়ানা জারির পর মঙ্গলবার কারা কর্তৃপক্ষ রায় বাস্তবায়নের সব প্রক্রিয়া শেষ করার মধ্যে কাদের মোল্লার আইনজীবীদের আবেদনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্থগিত রাখার আদেশ হয়।

সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির এই আদেশের পর  সংক্ষুব্ধ হয়ে রাত ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে আবার লাগাতার অবস্থান নেয় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী-সংগঠকরা।

ফাঁসির আদেশ কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে বলে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘যেখানে আমরা ফাঁসি কার্যকরের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, সেখানে রাতের অন্ধকারে এমনকি ঘটল, যার জন্য এ ফাঁসি স্থগিত হল?

গত ৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার আদেশ হলে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে তরুণ প্রজন্ম। তাদের নেতৃত্বে শাহবাগে গণঅবস্থান এক সময় লাখো মানুষের সমাবেশে রূপ নেয়, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘বাংলা বসন্ত’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

ওই আন্দোলনের দাবির মধ্যে আইন সংশোধনের পর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন ও আসামি পক্ষের আপিলের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

আপিলের রায়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড হয়। গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রোববার মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়।

এরপর রায় কার্যকরের সব প্রস্তুতি মঙ্গলবার নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। তবে সব প্রস্তুতি সারার পর চেম্বার বিচারপতির স্থগিতাদেশ আসে।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.