উইমেন চ্যাপ্টার: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে আপিল বিভাগের দেয়া ফাঁসির রায়ের অনুলিপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছেছে। ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অরুনাভ চক্রবর্তী বলেন, রায়ের সাথে যে ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হবে, সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব প্রস্তুতি আছে।
প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচজন বিচারপতির বেঞ্চ গত ১৭ সেপ্টেম্বর এই রায় ঘোষণা করে। বিচারকদের স্বাক্ষরের পর সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা বৃহস্পতিবার এই রায় প্রকাশ করে। সেদিনই ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের সমন্বয়ক এম কে রহমান জানান, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া কাদের মোল্লার দণ্ড বাস্তবায়নের দিনক্ষণ সরকারের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে। তিনি বলেন, ‘আইন অনুসারে সরকারের সিদ্ধান্তে এই রায় বাস্তবায়ন হবে। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার চাইলে জেল কোড অনুসরণ করতে পারে।…তবে জেল কোড অনুসরণের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সরকার চাইলে ভিন্ন কোন সিদ্ধান্তও নিতে পারে’।
তবে জামায়াত নেতার আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, রায় বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কারাবিধি অনুসরণের বিকল্প নেই। তারা রায় পর্যালোচনার (রিভিউ) আবেদন করবেন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, দ্রুত এই রায় বাস্তবায়ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার রায়ের অনুলিপি প্রকাশের পর কাদের মোল্লাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। রায়ের অনুলিপি হাতে পেলে তারা জেল কোড অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান উপ-কারা মহাপরিদর্শক গোলাম হায়দার। সাধারণ ক্ষেত্রে আপিল বিভাগে আবেদন না করলে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমোদন দেওয়ার পর মৃত্যুদণ্ডের প্রক্রিয়া শুরু হয়। চূড়ান্ত নিষ্পত্তির রায় এক্ষেত্রে আদালতের আদেশ বিচারিক আদালতে পৌঁছার পর ওই আদালত মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে।