শেষপর্যন্ত ৫৩০০ টাকা মজুরি!

garments2উইমেন চ্যাপ্টার: পোশাক কারখানা বন্ধের হুমকিসহ নানা টালবাহানার পর অবশেষে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫৩০০ টাকা মেনে নিয়েছেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তারা নতুন এই বেতন কাঠামোতে সম্মত হন।

নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যেই বুধবার গণভবনে মালিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে এই অসন্তোষের জের ধরে বুধবার আশুলিয়ার শতাধিক কারখানা বন্ধ রাখা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলামসহ পোশাক শিল্প মালিকদের দুই সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, শ্রমসচিব মিকাইল শিপারও বৈঠকে ছিলেন।বৈঠকের পর মজুরি বোর্ডে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি আরশাদ জামাল সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় মজুরি বোর্ডের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে সবাই। “গেজেট নোটিফিকেশন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা বাস্তবায়ন করব।”

মিকাইল শিপারও মেনে নেওয়ার কথা জানান। তিনি জানান, “প্রধানমন্ত্রী শিল্প মালিক নেতাদের বলেছেন, তাদের যেসব সমস্যা রয়েছে, সে বিষয়গুলো তিনি দেখবেন। মালিক নেতারা যেন ন্যূনতম মজুরি ৫৩০০ টাকা মেনে নেন। এরপর তারা তা মানার কথা জানান।”এর আগে সর্বশেষ ২০১০ সালের ২৭ জুলাই পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।

গত বছরের নভেম্বরে তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড এবং গত এপ্রিলে সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের স্বল্প মজুরির বিষয়টি নতুন করে সামনে চলে আসে।

বিদেশি বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি পোশাক বর্জনেরও হুমকি দেয়ার প্রেক্ষাপটে গত জুনে পোশাক খাতের বেতন পুননির্ধারণের জন্য নতুন মজুরি বোর্ড ঘোষণা করে সরকার।

বোর্ডে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধিরা এই প্রস্তাব মেনে নিলেও শ্রমিকদের কিছু সংগঠন আট হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন: