উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: নিয়মিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে একদিনে ৩০০ আসনের নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সেনা সয়াহতা চাইবে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার নির্বাচন কমিশনের এক বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ বলেন, “১৯৭৩ থেকে এ পর্যন্ত কোনো জাতীয় নির্বাচনই সেনাবাহিনীর সহায়তা ছাড়া হয়নি। পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসারসহ নিয়মিত বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে একদিনে ৩০০ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়।”
১৯৭৩ সাল থেকে সকল জাতীয় নির্বাচনেই সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, “সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে অনুসারে যথাসময়ে নিয়ম মেনে সশস্ত্রবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হবে।”
তবে, কোথায় কত সেনা মোতায়েন করা হবে তা তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী শৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠকে চুড়ান্ত করা হবে।
সংবিধানের বর্তমান বিধি অনুযায়ী আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তফসিল ঘোষণার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার জানান, যথাযময়েই তফসিল ঘোষণা করে হবে।
ঠিক কতদিনের জন্য সেনা মোতায়েন করা হবে এ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলেনি কমিশনার। তবে সাধারণত সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগে-পরে পাঁচ দিন নির্বাচনী এলাকায় সেনাবাহিনী থাকে।
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা বিষয়ক উপ সচিব মিহির সারওয়ার মোর্শেদ জানান, সংসদীয় ব্যবস্থা ফিরে আসার পর পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ৫ দিনের জন্য নিয়োজিত ছিল সেনাবাহিনী। ২০০৮ সালের নবম সংসদ, ১৯৯৬ ষষ্ঠ সংসদ ও ২০০১ সালের অষ্টম সংসদে ৫ থেকে ৭ ছিল মাঠে ছিল সেনাবাহিনী।
তবে কমিশন থেকে জানানো হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ইসির আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকে গোয়েন্দাসংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সেনা মোতায়েনের সময়সীমা এবং এলাকা অনুযায়ী সেনার সংখ্যা ঠিক করা হতে পারে।