উইমেন চ্যাপ্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার টেলিফোন সংলাপ ফাঁস করার ঘটনাকে বিএনপি ‘শিষ্টাচার বহির্ভূত’ এবং ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে বর্ণনা করেছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানায়, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে যে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটাকে অংকুরেই নষ্ট করার জন্য টেলিফোন আলাপ ফাঁস করা হয়েছে।
প্রায় ৩৭ মিনিটের এই আলাপচারিতার বেশিরভাগ সময় দুই নেত্রী বিভিন্ন ইস্যুতে তীব্র বাক-বিতণ্ডায় লিপ্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী নেত্রীকে বার বার তিন দিনের হরতাল কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। কিন্তু অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে খালেদা জিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেরকম শেষ সময়ে ফোন করেছেন, তখন আর হরতাল প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়। তাছাড়া তার একার পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয় বলেও তিনি জানান।
বিবিসির রিপোর্টে বলা হয়, এদেশীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী নেতার মধ্যে ব্যক্তিগত টেলিফোন কলে দেশের রাজনীতি নিয়ে সরাসরি আলাপের ঘটনা খুবই বিরল এক ঘটনা। তাই সোমবার রাতে এই দুই নেত্রীর কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পর এটি শোনার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র কৌতূহল ছিল।
কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত এই কথোপকথনের রেকর্ড খুব দ্রুতই ইন্টারনেটে ফেসবুক এবং ইউটিউবের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
দুই নেত্রীর মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের পর আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান হবে বলে যে আশাবাদ তৈরি হয়েছিল এই আলাপের রেকর্ড শোনার পর ফেসবুকে অনেকেই এ ব্যাপারে হতাশাব্যাঞ্জক মন্তব্য করেছেন।