উইমেন চ্যাপ্টার: প্রধানমন্ত্রী দেরিতে ফোন করায় হরতাল প্রত্যাহারের আর কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশের আগে এ আহ্বান জানালে দলের নেতাদের সাথে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী হরতাল প্রত্যাহার করার আহ্বান জানালে খালেদা জিয়া একথা বলেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিরোধীদলীয় নেতার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান ।
দুই নেত্রীর টেলিফোন আলাপ শেষে মারুফ কামাল খান গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফোনালাপের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
মারুফ কামাল জানান, খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীই ফোন করেন এবং এই আলাপ চলে প্রায় ৪০ মিনিট।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার বিএনপি চেয়ারপারসনকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানান উল্লেখ করে প্রেস সচিব জানান, এর উত্তরে বিরোধীদলীয় নেতা হরতালের কারণে যেতে পারবেন না বলেন। হরতাল শেষ হলে যে কোনো সময় আমন্ত্রণ জানালে যেতে প্রস্তুত বলেও জানান খালেদা জিয়া।
এসময় প্রধানমন্ত্রী হরতাল প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানালে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, কর্মসূচি প্রত্যাহারের এখন কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে গতকাল ১৮ দলের সভার আগে বা পরে একথা বলা হলে সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। কিন্তু এখন ১৮ দলের নেতাদের পুলিশ তাড়া করছে। তাঁরা ঘরে থাকতে পারছেন না। এ অবস্থায় আজ রাতের মধ্যে তাঁদের ডাকা সম্ভব নয়। জোটের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা না করে তিনি হরতাল প্রত্যাহার করতে পারেন না। তাছাড়া তিনি সমাবেশে স্পষ্ট বলেছেন, তারা আন্দোলন এবং সংলাপ একসঙ্গে চালাবেন।
মারুফ কামাল দাবি করেন, ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী অতীত নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। জবাবে খালেদা জিয়া বলেছেন, বার বার অতীতে যেতে থাকলে সামনে এগোনো যাবে না। অতীত নিয়ে তিক্ত বিতর্ক দিয়ে মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলনের জন্য যে সব বিষয় আছে, সেসব নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানান।
মারুফ কামাল আরও দাবি করেন, খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে বলেছেন, মৃত টেলিফোনে দীর্ঘ চেষ্টার চেয়ে তিনি আন্তরিক হলে অন্য অনেক মাধ্যম ছিল আলাপের জন্য। বিকল টেলিফোনে চেষ্টা করা ঠিক হয়নি। যেহেতু তিনি প্রধানমন্ত্রী, তাই অন্তত আগে তাঁর কর্মকর্তারা এসে দেখতে পারতেন ফোন ঠিক আছে কি না।
মারুফ কামাল জানান, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন একজন সরকারি কর্মচারি বলেছেন, খালেদা জিয়ার ফোন সচল আছে। এটি মিথ্যা। ওই কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিরোধীদলীয় নেতা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
প্রেসসচিব বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন, তাঁরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চান। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা যে দুটি প্রস্তাব দিয়েছেন ওই দুটি ফর্মুলার সমন্বয়ে নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে একটি জায়গায় পৌছানো যাবে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর দেওয়া ফর্মুলার কথা তুলে ধরলে বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, সেই ফর্মুলা গ্রহণযোগ্য হয়নি। সরকার নীতিগতভাবে নির্দলীয় সরকার মেনে নিলে বিএনপি সব কর্মসূচি স্থগিত করবে।