উইমেন চ্যাপ্টার: সাভারে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ছয়মাস পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিপূরণ পাননি শ্রমিকেরা। বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকেরা বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে দ্রুত ক্ষতিপূরণসহ নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, প্রতীক অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এতে আহত শ্রমিক ও নিহতদের স্বজনেরাও অংশ নেন।
রানা প্লাজা ধসের ছয় মাস পূর্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ধসে পড়া ভবনের সামনে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সকালে প্রতীক অবস্থান কর্মসূচি পালন করে জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন। এ সময় সংগঠনের সভাপতি আমিরুল হক বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের জন্য গত মাসে জেনেভার বৈঠকে রানা প্লাজার পোশাক কারখানাগুলোতে ২৯ ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র নয়টি অংশ নেয়। তিনি শিগগিরই বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন করে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচির শুরুতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে বের করা হয় বিক্ষোভ মিছিল।
হুইলচেয়ারে করে মানববন্ধনে যোগ দিতে এসেছিলেন আহত শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম। ভবন ধসে তাঁর বাঁ পা ভেঙে যায় এবং ওই পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে মাংস উঠে যায়। চিকিৎসা করার পর তিনি এখনো হাঁটতে পারেন না। তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর তিনি এখন পর্যন্ত কোনো আর্থিক সহায়তা পাননি।
সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, ‘মালিকেরা একের পর এক শ্রমিকদের হত্যা করে চলেছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে আইনের শাস্তির বিধান করা হচ্ছে না। আমরা মালিক আর সরকারের অবহেলার কারণে আর কোনো নিরীহ শ্রমিকের লাশ দেখতে চাই না।’
সংবাদ সম্মেলনে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা ও তাজরীনের মালিকের বিচার, নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবি জানায় গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মোশরেফা মিশু।