উইমেন চ্যাপ্টার: আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনের পথ থেকে সরে না আসতে খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপিপন্থী কলামিস্ট হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ফরহাদ মজহার।
রোববার বিএনপি সমর্থক সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।
বিরোধীদলীয় নেতাকে রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়ে কলামিস্ট ফরহাদ মজহার বলেন, আপসের পথ বাংলাদেশে খোলা নেই। আন্দোলন ছাড়া ফ্যাসিবাদী এই সরকার ক্ষমতা ছাড়বে না।
বিএনপির মধ্যেই কেউ খালেদা জিয়াকে বিভ্রান্ত করতে পারে- এই সন্দেহের কথা জানিয়ে তাকে সতর্কও করে দেন তিনি।
তিনি বলেন, “কোনো বিভ্রান্তি ও লোভ, এমনকি দলের বিশেষ একটি পক্ষের কা্র্যক্রমে বিভ্রান্ত হয়ে আপনি পিছু হটবেন না। পিছু হটলে ১৬ কোটি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে। আমার অনুরোধ আপনি কখনো মাঠ ছাড়বেন না। রাজপথ ছাড়বেন না।”
খালেদা জিয়া ‘ভুল’ করলে তার সমালোচনাও করবেন বলে জানান বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই কবি।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের এই সম্মেলনে খালেদা জিয়া ছাড়াও বক্তব্য রাখেন এলডিপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির নজির আহমদ।
লাগাতার কর্মসূচি দিতে বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংসদ সদস্য অলি আহমদ বলেন, “এই সরকারের কাছে গতকাল পর্যন্ত নির্দলীয় সরকারের দাবি জানানোর দিন শেষ হয়ে গেছে। এখন এক দফা, এক দাবি- হাসিনা তুই কবে যাবি।”
এক সময়ে মহাজোটে থাকা সাবেক এই বিএনপি নেতা বলেন, “ম্যাডামকে বলব, এখন আর হরতাল দিয়ে লাভ নেই। দুই দিন পর সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। এখন একসঙ্গে শুরু করতে হবে। তারে (শেখ হাসিনা) বের করেন”।
জামায়াত নেতা বলেন, “সরকার জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়েছে। একটি হলে তাদের বাঁচানো যেত। কিন্তু তারা পাঁচটি আতঙ্কে রয়েছে। এক. ইসলাম, দুই. নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তিন. বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান, চার. জামায়াত-শিবির ও পাঁচ. হেফাজতে ইসলাম।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এই সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ জাতীয় কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব সঅধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।