
উইমেন চ্যাপ্টার: নির্দলীয় সরকার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব নিয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর ১৮ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে রাত সোয়া ৯টায় খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে শুরু হওয়া বৈঠকে ১৮ দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নিচ্ছেন।
বৈঠকে রয়েছেন- এলডিপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য আবদুল হালিম, ইসলামী ঐক্যজোটের আমির আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইসহাক, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনপিপি চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মূর্তজা, ইসলামিক পার্টির সভাপতি আবদুল মোবিন, ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, মুসলিম লীগের সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, পিপলস লীগের চেয়ারম্যান গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি শেখ আনোয়ারুল হক, জমিয়তে উলামা ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শাহীনুর পাশা চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি।
গত শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়ে তাতে অংশ নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
ওই প্রস্তাব পাওয়ার পর বিএনপির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে দলীয় ও জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন খালেদা জিয়া। সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন তিনি।
তবে রোববার এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেছেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে তার দল যাবে না এবং তা হতেও দেওয়া হবে না।
তবে বিএনপির একটি সূত্র জানায়, বৈঠক থেকে সরকারের প্রতি বিকল্প কোন প্রস্তাব আসতে পারে এবং রাজধানীতে সভা-সমাবেশের ওপর পুলিশের নিষেধাজ্ঞা এবং ২৫ অক্টোবরের ঘোষিত জনসভা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
দশম সংসদ নির্বাচনের দিন গণনার প্রথম দিন ২৫ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় সমাবেশের কর্মসূচি দেয়ার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও রাজপথে থাকার ঘোষণা দেয়।
দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ সব ধরনের মিছিল-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এর প্রতিবাদে রোববার জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশও করে বিরোধী দল।