উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক (৩০ মে) : হেফাজতেইসলামের ১৩ দফা ‘মোকাবিলা করা‘ রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেনজাতিসংঘের নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বিষয়ক বিশেষ রেপোর্টিয়ার রাশিদা মানজু।
জাতিসংঘের বিশেষ রেপোর্টিয়ার রাশিদা মানজু। ফাইল ছবি
হেফাজতের ১৩ দফায় নারী অধিকার বিরোধী যা রয়েছে সেগুলো পরিহার করে নারীর অধিকার সুরক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব বলেও মনে করেছেন তিনি।
সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে ১০ দিনের সফর শেষে বুধবার রাজধানীতে একসংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন রাশিদা। তিনি নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধেসরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করার পাশাপাশি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথাউল্লেখ করেন।
কয়েকজন ব্লগারকে ‘নাস্তিক‘ অভিহিত করে তাদের ফাঁসিসহ১৩ দফা দাবিতে গতফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামে চট্টগ্রামকেন্দ্রিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।১৩ দফার মধ্যে পুরষের সঙ্গে নারীর ‘অবাধ মেলামেশা‘ বন্ধের দাবিও রয়েছে।
এবিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে রাশিদা মানজু বলেন,“১৩ দফা দাবি আমি দেখেছি। এই ধরনেরআহ্বান মোকাবিলা করা এখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”
সরকারকে অবশ্যই এই দাবিরপ্রতি নতি স্বীকার না করে নারীর মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে উল্লেখ করে তিনিবলেন, “নারীর অবশ্যই সমানভাবে বাইরে আসার অধিকার রয়েছে।”
জাতিসংঘমানবাধিকার কাউন্সিল নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, তার কারণ এবং পরিণতি বিষয়ে২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপককে বিশেষরেপোর্টিয়ার নিযুক্ত করে।
বাংলাদেশে বিয়ে, সেপারেশন এবং তালাকের ক্ষেত্রে ভিন্নভিন্ন ধর্ম এবং জাতিগোষ্ঠীর জন্যে পৃথক আইন থাকার কড়া সমালোচনাও করেন তিনি।
তিনিবলেন, “এই প্রক্রিয়ায় নারীর বিরুদ্ধে বৈষম্য ও সহিংসতা আইনে ও চর্চায় বলবৎরয়েছে। বিবাহ ও তালাকে এ সব আইনে পুরুষকে বেশি ক্ষমতাবান করা হয়েছে।” তিনিনারীর অধিকার সুরক্ষায় এই ক্ষেত্রে একটি অভিন্ন আইন প্রণয়নের দাবি জানান।
গত ১৯ মে বাংলাদেশেআসা রাশিদা মানজু ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খুলনা এবং যশোরে বৈঠক করেন।তাকে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশকরেন।