উইমেন চ্যাপ্টার: বৃহস্পতিবারের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কর্মকাণ্ড চালু ও ঋণসীমা বাড়ানোর বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারলে তা সারাবিশ্বের অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারতো। আর এর সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হতো উন্নয়নশীল দেশগুলো। কিন্তু অনেক আলোচনা-বিতর্ক শেষে শেষপর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি দলই একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে ওবামা প্রশাসন, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে থাকা বিশ্বও।
গতকাল বুধবার কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের ভোটাভুটিতে এ-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা বিল পাস হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিবিসির অনলাইনের খবরে বলা হয়, গতকাল কংগ্রেসে ৮১-১৮ ভোটে সমঝোতা বিলটি পাস হয়। বিলটি পাসের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণসীমা ১০ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন থেকে বেড়ে ১৬ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন করা হয়েছে।
দীর্ঘ আলোচনা ও তর্ক-বিতর্কের পর বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরা শেষমেশ ঋণসীমা বাড়ানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমে ঋণখেলাপি হওয়ার হাত থেকে সাময়িক রেহাই পেলেও এটি কোনো চিরস্থায়ী সমাধান নয়। ঋণসীমা বাড়ানোর ফলে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত খরচ বাড়ানোর তহবিল পাবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এ ছাড়া ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তুলনামূলক বেশি হারে যুক্তরাষ্ট্র ঋণ নিতে পারবে। তবে এ সময়ের মধ্যে সরকার ও বিরোধী দল সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারলে আবারও ঋণ খেলাপের ঘেরাটোপে পড়তে পারে দেশটি।
হোয়াইট হাউস জানায়, বিলটি পাসের ফলে আজ থেকে সরকারি কর্মচারিরা নিজ নিজ কাজে ফিরতে পারবেন।
আমেরিকা নামের দেশটি ঋণখেলাপি হয়ে গেলে কি ঘটবে- ঠিকঠাক কেউ তা জানে না। তবে বিশ্ববাসীকে ‘আপাতত’ সেই উদ্বেগ উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল।
দফায় দফায় বৈঠক আর দর কষাকষির পর একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে বন্ধ থাকা সরকারি কর্মকাণ্ড চালু এবং সরকারের ঋণ নেয়ার সুযোগ বাড়ানোর প্রস্তাবটি পাস করে যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রেস।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বুধবারের মধ্যে ১৬.৭ লাখ কোটি ডলারের বেশি ধার করার ছাড়পত্র না পেলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আগের ঋণ শোধ করতে না পেরে খেলাপী হয়ে যেত। যার প্রভাবে বিশ্ব আবারও ২০০৮ সালের মতো মহামন্দায় পড়ত বলে অনেকের আশঙ্কা।