
উইমেন চ্যাপ্টার: বিক্ষুব্ধ জনগণের তীব্র প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধের মুখে শেষপর্যন্ত নাৎসি যুদ্ধাপরাধী এরিক প্রিয়েবকে’র শেষকৃত্যও হতে পারেনি। জনতার প্রবল প্রতিরোধের মুখে তার স্বজনরা আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। তবে এরিকের আইনজীবী মিডিয়াকে বলেছেন, পুলিশের বাধার কারণে তারা এরিকের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পারেননি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানের দখল করা ইতালিতে গণহত্যায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে এরিকের বিরুদ্ধে। ওই সময় ৩৩৫ জন বেসামরিক নাগরিক নির্মমভাবে নিহত হন নাৎসি বাহিনীর হাতে। ১৯৯৫ সালে আর্জেন্টিনা থেকে বহি:ষ্কৃত হয়ে রোমে আসার আগে ৫০ বছর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়ান এরিক। রোমের অনুরোধে ১৯৪৪ সালে সংঘটিত একটি গণহত্যার দায়ে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য আর্জেন্টিনা এরিককে ইতালি পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকে এরিক গ্রেফতার অবস্থায় ছিলেন। গত শুক্রবার ১০০ বছর বয়সে এরিকের মৃত্যু ঘটে।
এরিকের মৃত্যুর পর পরই তার শেষকৃত্য নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। একজন যুদ্ধাপরাধীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে অস্বীকৃতি জানায় রোমের চার্চ। শহরে এরিকের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেন রোমের সিটি মেয়রও। পুলিশ প্রধানও সরাসরি জানিয়ে দেন, একজন যুদ্ধাপরাধীর শেষ কৃত্য অনুষ্ঠানের বিপক্ষে রোমের পুলিশ। এমনকি যে আর্জেন্টিনা তাকে ৫০ বছর আশ্রয় দিয়েছে, মৃত্যুর পর সেই আর্জেন্টিনাও তার মৃতদেহ সৎকারের সুযোগ দিতে রাজি হয়নি।
টানা কয়েক দিনের অনিশ্চয়তার পর ভ্যাটিকান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া প্রাচীনপন্থী একটি ধর্মীয় গ্রুপ তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিলে দেশজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এরিকের মৃত্যুতে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপারে সরকারের বিধিনিষেধের মুখে ধর্মীয় গোষ্ঠীটি কেবলমাত্র ধর্মী বিধি অনুসরণের ঘোষণা দেয়। কিন্তু জনতার বিপুল বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত (মঙ্গলবার পর্যন্ত) তার সেই শেষ কৃত্যটুকুও হতে পারেনি।
তথ্যসূত্র: নতুনদেশ।