উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: প্রবল বর্ষণে ঘূর্ণিঝড় পাইলিন ক্রমশ দুর্বল হয়ে উড়িষ্যা উপকুল পেরিয়ে উত্তর উত্তর পশ্চিম দিকে ধাবিত হচ্ছে।
প্রতি ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার ঝড়ের বেগ এবং ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাস নিয়ে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৯টায় উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়টি এখন ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে। গতকাল পাঁচজন নিহতের খবর প্রচারিত হলেও এখনও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানায়নি ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো।
আক্রান্ত এলাকাগুলোতে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে শনিবার পর্যন্ত আট লাখেরও বেশি মানুষকে উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূল থেকে সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ভুবনেশ্বর বিমানবন্দটির নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ করে বিমানবাহিনীকে দেয়া হয়েছে। জরুরী ত্রান সহায়তার প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ১৮টি হেলিকপ্টার, ১২টি বিমান এবং দুটি যুদ্ধ জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে ত্রান সহায়তা দেয়ার জন্য।
গত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এ ঘুর্ণিঝড়ের কারণে শনিবার ট্রেন ও বিমান চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। ভুবনেশ্বরের বিজু পাটনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। হাওড়া-বিশাখাপত্তম রুটের ৫৬টি ট্রেনেরও যাত্রা বাতিল করা হয়।
এর আগে ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে উড়িষ্যায় একটি ঘুর্ণিঝড়ে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।