মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার চলাচলের জন্য উন্মুক্ত

jatrabari flyoverউইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ উড়াল সেতু ‘মেয়র মোহাম্মাদ হানিফ ফ্লাইওভার’।

বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রী নিজে গুলিস্তান প্রান্তে ফিতা কেটে গাড়ি নিয়ে ফ্লাইওভারে ওঠে উদ্বোধন করেন।

এরপর গাড়িতে চড়ে যাত্রাবাড়ী-কুতুবখালী প্রান্তে টোল প্লাজায় পৌঁছে ফলক উন্মোচন করেন। প্রকল্পের ঠিকাদার ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওবায়দুল করিম প্রধানমন্ত্রীকে স্মারক টোল টিকেট প্রদান করেন। বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি খচিত একটি পঞ্চাশ টাকার স্মারক মুদ্রা দেন।

২০১০ সালের ২২ জুন উদ্বোধন করা এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। ১১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উড়াল সেতুর ছয়টি প্রবেশপথ রয়েছে। বের হওয়ার জন্য পথ রয়েছে পাঁচটি।

আপাতত ফ্লাইওভারের গুলিস্তান, পলাশী, মতিঝিল ও কুতুবখালি পর্যন্ত পথ খুলে দেয়া হচ্ছে। বাকী অংশ আগামী ডিসেম্বর নাগাদ খুলে দেয়ার আশা প্রকাশ করেছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (পিপিপি) নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় এ ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ওরিয়ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। নকশা করেছে কানাডীয় কোম্পানি লি কানাডা আর, নির্মাণ কাজে ঠিকাদার হিসাবে রয়েছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল লিমিটেড। লাসা নামে ভারতের আরেকটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে।

উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ওসমানী মিলনায়তনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে একটী সুধী সমাবেশে বক্তব্য দিবেন তিনি।

ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, হানিফ ফ্লাইওভার প্রকল্পের পরিচালক মো. আশিকুর রহমান এবং ওরিয়ন গ্রুপ ও সিটি কর্পোরেশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

শেয়ার করুন: