উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে।
খবরে বলা হয়, ইসরায়েল যুদ্ধের ৪০ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসির সমর্থকরা তাহরীর স্কয়ারে একটি সমাবেশের ডাক দিলে সেখানে সংঘাত বাধে। তাহারীর স্কয়ারে তখন একই উপলক্ষ্যে অন্য একটি সমাবেশ চলছিলো।
ব্রাদারহুডের কর্মীরা ঢোল বাজিয়ে এবং স্লোগান দিয়ে ঐ স্থানে ঢোকার চেষ্টা করে। পরে দেশটির সেনাপ্রধানকে খুনি আখ্যা দিয়ে স্লোগান দিলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে ব্রাদারহুড কর্মীরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে অবশ্য সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীদের তাহারীর স্কয়ার থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
বিবিসি জানায়, বিক্ষোভকারীদের তাহরীর স্কয়ার থেকে সরিয়ে দিলে সংঘর্ষ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয় এবং আহত হয় ২৪০ জন।
কায়রো থেকে মুসলিম ব্রাদারহুডের ২০০ ‘র বেশি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
কায়রো ছাড়াও মিশরের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
কায়রোতে সংঘর্ষের পর মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্যরা শহরের অন্যান্য অংশে এবং আলেকজান্দ্রিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করে। ঐসব স্থানেও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে তাদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। আলেক্সান্দ্রিয়ায় বিক্ষোভকারীদের মিছিলে পুলিশ টিয়ার সেল ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে।
নিরাপত্তা বাহিনীর এমন বৈরী আচরণের তীব্র নিন্দা জানান বিক্ষোভকারীরা।
তারেক নামে মুসলিম ব্রাদারহুডের একজন কর্মীর বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, ‘সেখানে যা করা হয়েছে তা সেনাবাহিনীর নীতির মধ্যে পড়েনা। মিসরের সেনাবাহিনী অন্যদেশের শত্রুর বিরুদ্ধে লড়বে, কিন্তু নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কেন লড়বে তারা?’
সংঘর্ষের পর দেশজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ।
গত জুলাইতে মিসরের সেনাবাহিনী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসিকে হটিয়ে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করে। সেই থেকে দেশটিতে সেনা ও ব্রাদারহুডের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকশ মানুষ নিহত হয়েছে।