আমার নিজের তো কোনও ফেসবুক নাই তাই মায়ের ফেসবুকে লিখছি। আজ আমার মা খুব অস্থির হয়ে আছেন।কুষ্টিয়ার গড়াই নদী শুকিয়ে গেলে উনি সুন্দরী গাছ মরে যাওয়া নিয়ে ছবি বানাতে গেছেন, সুন্দর বনে কাটিয়েছেন। ছবি তুলেছেন। গড়াই নদি বেয়ে নৌকায় গেছেন। আর আমার প্রথম জন্মদিনের উপহার ছিল চার ফিট লম্বা একটি হাঙর, সাথে কিংক্র্যাবের মা বাবার ছবি, লাল নীল ও গোলাপী কাঁকড়া, শঙ্খচিল মাছরাঙা, সবচেয়ে বড় লিজার্ডে”র ছবি।এখনও উনি গড়াই নদীর উপর ছবি তুলছেন। কারণ নদী কাটা হচ্ছে। মা বলেছে এটাও আপনি করছেন। আপনি তিনশটি নদী কাটাবেন। হিমালয়ের পানি এনে নদী বাঁচাবেন। গড়াই কিভাবে সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে দিতে পারে মা সেই ছবি খুঁজতে গরমকালে সুন্দরবনে গিয়েছেন। এসে অসুস্থ হয়ে ছিলেন।
আমি সুন্দরবন দেখতে চাই। যেদিন আমি বড় হবো সুন্দরবন দেখতে যাব। মা যে বনটা দেখেছে তা আমি দেখবো, মা যেখানে হেঁটেছে সেখানে আমি হাঁটবো। মার যেমন বাঘমামার ভয়ে বুক দুরুদুরু করেছে আমার ও তেমনি করবে কি? বাবা ভয়ে আমার গা কাঁপছে এখনই। আপনারা কি সুন্দরবন বানাতে পারবেন? পারবেন না? আমার মা বলেছেন সুন্দরবন একসময় আরও বড় ছিল। তার বেশিরভাগ ধ্বংস হয়েছে, আর সেসব কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবে না্। প্লিজ এই বনকে মেরে ফেলতে দেবেন না।”
তানসেন।
বয়স ১০
চতুর্থ শ্রেণী