উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, সারাবিশ্বে অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্থ করছে ধর্মীয় উগ্রবাদ। – বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য হলো ধর্মীয় সহাবস্থান। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে হলে অসাম্প্রদায়ীক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী ‘ধর্ম ও রাজনীতি: দক্ষিণ এশিয়া’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক গণবক্তৃতা ও সম্মিলন এবং প্রথম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ধর্মীয় সহাবস্থান নিশ্চিত করতে ‘৭২ এর সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের চার মূলনীতির অন্যতম ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আবার সেই ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ১৯৯১-৯৬ ও ২০০১-২০০৬ দুইবার ক্ষমতায় থেকে বিএনপি-জামায়াতের ধর্মান্ধ শক্তি ধর্মের অপব্যবহার করে ধর্মপ্রাণ মানুষকে প্রভাবিত করেছে। সে সময় ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের আখড়া হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর আহ্বায়ক মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইতিহাসবিদ মশিউল হাসান।
মশিউল হাসান বলেন, ভারত ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান প্রণয়ন করলেও এখনও ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে উঠতে পারেনি।
প্রবন্ধে তিনি পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় ধর্মীয় উগ্রতার উদ্ভব ঘটাতে অনেক দেশের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাও রয়েছে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাংসদ রাশেদ খান মেনন।