
উইমেন চ্যাপ্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে সরকার নিরাপত্তার দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। পরিবেশ ও মানুষের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও মাঠপর্যায়ে বাস্তব কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ একথা কলেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা যাবে কি না, এর পরিবেশগত প্রভাব কী হবে, কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে, ব্যয় কেমন হবে—এসব জরুরি বিষয় নির্ধারণের জন্য অনেকগুলো সমীক্ষা করতে হবে। এ জন্য সময় লাগবে অন্তত দেড় বছর।
ওই সমীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিদ্যৎকেন্দ্র স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এসব প্রক্রিয়ায় কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন—রোস্যাটম। সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)।
তিনি বলেছেন, এর মধ্যে দিয়ে পুরো জাতির একটি স্বপ্ন পূরণ হলো।
প্রধানমন্ত্রী আশা করছেন, এ প্রকল্পের দুই ইউনিটের কাজ শেষে ২০২১ সালের মধ্যে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।
এ জন্য ব্যয় হবে তিন থেকে চারশ কোটি ডলার।