মীর কাশেম আলীর বিচার শুরুর আদেশ

mir kashem aliউইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৪টি অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি ফজলে কবীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বৃহস্পতিবার মীর কাসেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এই আদেশ দেয়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও প্রারম্ভিক বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে বিচারকাজ শুরু হবে।

প্রসিকিউশন ১৬ মে মীর কাসেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে। এরপর ২৬ মে তা আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ রাখেন বিচারক।

প্রসিকিউশনের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ তাকে জুন গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান জামায়াতের এই নেতা দলটির অন্যতম প্রধান অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত। তিনি দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনেরও চেয়ারম্যান।

মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগের মধ্যে আটজনকে নির্যাতনের পর হত্যা, লাশ গুম এবং ৩৪ জনকে অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।

তিনি মিন্টু নামে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পরিচিত ছিলেন। সেখানে কলেজছাত্র থাকাকালে তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।

একাত্তরে তিনি জামায়াতের অঙ্গসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ছিলেন এবং সংগঠনটির পূর্ব পাকিস্তান শাখার সাধারণ সম্পাদকও হন।

তারই নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদর সদস্য ও রাজাকাররা চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লার ডালিম হোটেল, আসাদগঞ্জের চামড়ার গুদাম ও পাঁচলাইশের সালমা মঞ্জিলে নির্যাতনকেন্দ্র গড়ে তোলে। প্রিসিকিউশানের অভিযোগ মোতাবেক, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার নির্দেশনায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটসহ বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটানো হয়।

বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের তালিকা তৈরিতেও মীর কাসেম ছিলেন।

মীর কাশেম আলীর নেতৃত্বে ১৯৭৭ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্রসংঘ নাম বদলে ইসলামী ছাত্রশিবির নামে বাংলাদেশে রাজনীতি শুরু করে। মীর কাসেম তার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন।

শেয়ার করুন: