নারী বনাম পাবলিক টয়লেট

ফাতিমা তুজ-জান্নাত অনন্যা:

ফার্মগেটে বাস এসে ভিড়লো। সামনে পিছনে গোটা পঞ্চাশ বাস। দুপুরের তীব্র গরমে হাঁপিয়ে উঠেছে চারপাশ। মানুষগুলো যেনো হন্যি হয়ে দিগ্বিদিক ছুটছেন নিজ স্বপ্ন পূরণের আশায়। ঠিক স্বপ্ন পূরণ নয়; কেউ ছুটছেন পেটের তাগিদে, কেউ আবার নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিযোগিতায় আর কর্মহারা মানুষগুলো সেখানে ছুটছেন আগামী দিনে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে কিভাবে টিকে থাকবে সে মরীচিকার পিছে। অন্য সব মানুষের মতোই শুভ্রা এ শহরের একজন বাসিন্দা। শহরটিতে তাঁর কেটে গেছে পাঁচটি বছর। তিনি একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী। ঢাকার মগবাজারে এক ছোট্ট ফ্ল্যাটে ৪ জন মিলে বসবাস করেন। তাদের মধ্যে দু’জন শুভ্রার মতো শিক্ষার্থী, বাকি দু’জন নারী কর্মজীবি। সকাল ৬ টা থেকে টিউশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শুভ্রার ব্যস্ততা। অতঃপর ক্লাস, গ্রুপ স্টাডি, নিজের যাবতীয় বাজার সদাই শেষে বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। মস্ত বড় এ শহরে টিকে থাকার লড়াইয়ে এভাবেই কেটে যাচ্ছে তার প্রতিটা দিন। নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই চালাতে যেয়ে বেশ হাঁপিয়ে উঠেছেন তিনি। প্রতিদিনের মতো সেদিনও ছিলো একটি ব্যস্তময় দিন। ক্লাস শেষে দুপুরে বাড়ি ফেরার তাড়ায় বাসে চেপে বসলেন তিনি।

বাসটি যানজটে আটকে থাকার এক পর্যায়ে হঠাৎ শুভ্রার চোখ পড়লো ফার্মগেট সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটের দিকে। অপলক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন তিনি। মনে পড়ে গেলো পাঁচ বছর আগেকার এমনি একদিনের কথা। জ্যৈষ্ঠের দুপুরে মানুষের ভীড়; বাসের সিট অতিক্রম করে যাত্রীরা দাঁড়িয়ে আছেন। ধাক্কাধাক্কি, কথাবার্তা, চারপাশের আওয়াজ আর বাসের হেল্পারের সাথে যাত্রীর বাকবিতন্ডা যেনো আরো বিরক্তির সৃষ্টি করতে শুরু করেছিলো। ঠিক সেই মুহূর্তে শুভ্রা লক্ষ্য করলেন তার পরনের কাপড়টি ভেজা। ধীরে ধীরে তা বিস্তৃতি লাভ করতে শুরু করলো, সাথে অসহনীয়ভাবে বাড়তে থাকলো পেটের ব্যথা। অতিসত্বর তার টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো। ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিনটি বদলানোর দরকার। পাশে বসে ছিলেন অপরিচিত এক মানুষ। তাকে অতিক্রম করে যাওয়ার কথা ভাবতেই মন খারাপ হয়ে গেলো। কেননা, তিনি ধারণা করছিলেন তার জামায় রক্তের দাগ লেগে আছে। অন্যকিছু আর না ভেবে তৎক্ষণাৎ তিনি বাস থামানোর কথা বললেন।

বাসের পিছন থেকে হেঁটে আসার সময় পাশ থেকে একজন মধ্যবয়সী লোক বলে উঠলেন, “এ জন্যই বলি, মেয়ে মানুষের বাড়ি থাকাই ভালো। যত্তসব ঝামেলা……।” কথাটি শুনে মুহূর্তখানিক থমকে গেলেন তিনি। বাস থেকে নেমে কাঠফাটা রোদ্দুরে টয়লেটে যাবার জন্য ছুটলেন। শহরে নতুন এসেছেন, তাই বেশি কিছু তার চেনা নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও আশেপাশে পেলেন না কোনো টয়লেট। পাশে ছিলো বিশাল মার্কেট। মার্কেটের আওতাধীন যে টয়লেটগুলো ছিলো তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছিলো। একটাতে ভাঙ্গা প্যান, অন্য আরেকটাতে ছিলো উপচে পড়া বর্জ্য, অপরটি ছিলো তালা দেওয়া। অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন টয়লেটগুলোর দরজায় কোনো ছিটকিনি ছিলোনা। সেখানে ছিলো নানা লোকের আনাগোণা। কোনো গোপনীয়তা লক্ষ্য করা যায়নি। কি করবে, কি হবে, কোথায় যাবে সে- এসব কথা চিন্তা করতে করতে তার দু’চোখ বেয়ে পানি ঝরে পড়েছিলো সেদিন। তার পূর্ব ধারণা ছিলো শহরে জীবনযাত্রা খুব স্বাচ্ছন্দ্যের, সেখানে সব জিনিসই খুব সহজে পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তব চিত্র দেখে তার ধারণা পাল্টে যায়।
নগরায়ণের দ্রুত পদার্পণ এবং উন্নয়নের প্রভাব শহরে দেখা গেলেও নারীদের জন্য কতোটা সহায়ক (অর্থাৎ, কতোটা নারীবান্ধব) তা মূলত ভেবে দেখার বিষয়।

শুধু একটি দিন নয়, এমনিভাবে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতার সাথে প্রতিদিন অতিবাহিত করতে হয় একেকজন নারীকে। মাসিকের সময়টিতে এই চ্যালেঞ্জগুলো আরো প্রকট রূপ ধারণ করে। বাইরে চলাফেরার খাতিরে টয়লেটের ঘাটতির কারণে পূর্বে নানা সময়ে শুভ্রা মলমূত্র আটকে রাখতেন। নিজের রেচন প্রক্রিয়ার উপর চাপ দিতে দিতে একটা সময় পর আবিষ্কার করলেন তার ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়াসহ বারবার প্রস্রাবের বেগ পেতে থাকে তার। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শতকরা ৮৫ ভাগ নারীদের মাঝে এ সমস্যা দেখা যায়। ইউরিন ইনফেকশন হলো এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট রোগ যা ইউটিআই বা মূত্রনালীর সংক্রমণ। এ রোগের প্রধানতম লক্ষণ প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ পেতে থাকা। পুরুষের জন্য ইউরিন ইনফেকশনের ভয়াবহতা তেমনভাবে লক্ষ্য করা যায়না কেননা যেকোনো স্থানে তাদের মলমূত্র ত্যাগের ঘটনা নতুন নয়। এমনকি রাস্তার পাশে ফাঁকা স্থানে তাদের মূত্র ত্যাগের প্রবণতা এদেশের বেশ পরিচিত একটি চিত্র। কিন্তু নারীদের ঘটে থাকে ঠিক তার বিপরীত ঘটনা।

দীর্ঘ সময় ধরে মল-মূত্র চেপে রাখার কারণে শরীরে বাসা বাঁধে নানান রোগের। ইউরিন ইনফেকশন ছাড়াও কিডনিজনিত রোগে ভুগতে দেখা যায় তাদের। ফলে, নারীদের জন্য ব্যবহার উপযোগী যে টয়লেট থাকার কথা তার পরিবর্তে সমাজে চলিত ঘটনার প্রেক্ষিত নারীদের প্রতিকূলতাকে আরো বাড়িয়ে তোলে। পর্যাপ্ত পানি পান এবং ইউরিন চেপে না রাখার জন্য বারবার বলা হয়েছে এ রোগের প্রতিকারে। কিন্তু ঢাকা শহরের রাস্তায় সে ব্যবস্থা প্রায় অপ্রতুল বললেই চলে। পাবলিক টয়লেট এবং এর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণের প্রক্রিয়া ৫ বছর পরে এসে আপাতদৃষ্টিতে পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হলেও কতোটা তার বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে তা দেখা প্রয়োজন।

২০১৯ সালের রিপোর্ট অনুসারে, ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে মোট ৩৮ টি এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধীনে মোট ৪৭ টি টয়লেট রয়েছে। অত্যাধুনিক কায়দায় সে সমস্ত পাবলিক টয়লেট তৈরি করা হলেও তা কি আদৌ প্রয়োজনীয়তা মেটাতে পারছে- তা নিয়ে প্রশ্নের জট থেকেই যায়। সেখানে বিশুদ্ধ খাবার পানি, গোসলের আলাদা ব্যবস্থা, বিদ্যুতের সুব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা রক্ষার জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় তা বেশ কম সংখ্যায়। আবার ৫ এবং ১০ টাকা প্রদানের মাধ্যমে সেখানে একটি টিকিট দেওয়া হয় এবং তা ব্যতীত যে কারও প্রবেশাধিকার থাকে না সেখানে। এর ফলে অনেক নারীর ক্ষেত্রে, যেমন, শহরে নানা কন্সট্রাকশনের কাজে নিয়োজিত নারী, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজে সংযুক্ত নারী, নারী ভিক্ষুকদের জন্য টয়লেটের পিছনে খরচ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে ওঠে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে তাই অনেকে দীর্ঘ সময়ের জন্য মলমূত্র চেপে রাখছেন। ফলে শরীরে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ। যা স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতের অন্তরায় কাজ করছে।

ঢাকার শহরের ভিতর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, নাবিস্কো হাজী মরণ আলী রোড, তেজগাঁও ট্র্যাক স্ট্যান্ড, ফার্মগেট ইন্দিরা রোড, শ্যামলী পার্ক, মহাখালী ওয়াসার পানির পাম্প, মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব ও গেট সংলগ্নসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পাবলিক টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। শুরুর দিকে তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে থাকলেও বর্তমানে তার অবস্থাও শোচনীয়। নারীদের জন্য একটি টয়লেটে সবচেয়ে প্রধান যেটি থাকা দরকার তাহলো নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থা। অথচ দিন দিন তার অবনতি ঘটতে দেখা যাচ্ছে। পুরুষ ও নারীদের আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা থাকলেও অনেক সময় পুরুষ টয়লেট খালি না থাকায় দু’একজন পুরুষকে নারী টয়লেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া প্রয়োজন পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা থাকা। সেক্ষেত্রে কর্তব্যরত কর্মীদের সহযোগিতা খুব একটা চোখে পড়েনা। নারীদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত কাপড়, তুলা, টিস্যু বা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হয়। তা পরিবর্তনের জন্য একটা গোপনীয় স্থান থাকা প্রয়োজন এবং ব্যবহৃত সামগ্রী ফেলার জন্য টয়লেটগুলোতে ঝুড়ি থাকা আবশ্যক। খোলা ঝুড়ি সেখানে গ্রহণযোগ্য নয় কেননা তাতে রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। তাই, ঢাকনা দেওয়া ঝুড়ির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। অনেক টয়লেটে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ থাকেনা, যা আরো বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকির দিকে নিয়ে যায় নারীদেরকে। একজন টয়লেট ব্যবহার করে আসার সাথে সাথে পরিষ্কার করার ব্যবস্থা থাকা জরুরী। নারীদের টয়লেটে এসমস্ত বিষয়াদি নিশ্চিতকরণ প্রয়োজন।

শুভ্রার ফ্ল্যাটমেট রহিমা খাতুন একজন গার্মেন্টস কর্মী। তিনি ঢাকা শহরে বাস করছেন দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ। হেমায়েতপুরের এক পোশাক কারখানায় বিগত ৮ বছর ধরে তিনি কাজ করছেন। ঢাকা শহরের আরেকটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এই কারখানাগুলো। তার ভাষ্যমতে, একেকটা দিন কাটে দুর্বিষহ অবস্থার মধ্য দিয়ে আর এভাবেই তাকে অতিবাহিত করতে হচ্ছে বছরের পর বছর। তিনি যে ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন সেখানে ৫০০০ কর্মী নিয়োজিত আছেন, তন্মধ্যে প্রায় ৩৫০০ জন মহিলা কর্মী। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে দিনের একটা বড় সময় তাদের অবস্থান করতে হয়, কিন্তু সেখানে নেই কোনো মানসম্মত টয়লেট। গড়ে যেখানে ২০০ জনের জন্য একটা টয়লেট থাকাই স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিপরীতে যায়, সে হিসেবে দেখা যায় পুরো কারখানায় সবমিলিয়ে মোট ৫-১০ টি টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। এতে মলমূত্র চেপে রাখার প্রবণতাও ব্যাপকহারে চোখে পড়ে। এর সাথে মানিয়ে নিতে নিতে একটা সময় শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন নারীরা।

ঢাকার উপসনালয়গুলোর (যেমন, মসজিদ, মন্দির বা গীর্জা) দিকে যদি লক্ষ্য করা যায়, তবে দেখা যাবে সেখানে নারীর প্রবেশাধিকার সীমিত, কোনো ক্ষেত্রে আবার নেই বললেই চলে। টয়লেটের ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও নারীদের জন্য তা ব্যবহারে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মার্কেট বা সুপার মলের টয়লেটগুলোর যে শোচনীয় অবস্থা দেখা যায় তা ভাষায় বর্ণনার মতো নয়। অস্বাস্থ্যকর এবং অপরিষ্কার সে সমস্ত জায়গাগুলোতে নেই পানির সুব্যবস্থা বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কোনো সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা। স্থানীয় অনেকে আয়ের লোভে একটা বাক্স সমেত চাঁদা উঠাতে বসে যান। এই বিষয়গুলো কড়া নজরদারিতে রাখা প্রয়োজন।

ঢাকার আরেকটি নিত্যনৈমত্তিক ঘটনা হলো- যানজট। একটা বড় সময় গাড়ি যানজটে পড়ে থাকে। যেখানে ১০ মিনিটের রাস্তা, সেখানে পৌঁছাতে ২ ঘন্টার বেশি সময় লেগে যায়। এই দীর্ঘ সময়ের মাঝে নারীদের জন্য টিকে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। আশেপাশে কোথায় টয়লেট আছে, তা সম্পর্কেও অনেকে জানেন না। আবার, জানলেও তা খোলা আছে নাকি বন্ধ- সে সম্পর্কে তথ্য অজানা থেকে যায়। শুধু ইউরিন ইনফেকশন নয় এর সাথে কিডনিজনিত রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। তা সম্পর্কে একজন ভুক্তভোগীই কেবল বুঝতে পারেন।

বর্তমানে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নারীদের সর্বক্ষেত্রে পদচারণা এখন তুঙ্গে। শুধু ঘরের মাঝে আবদ্ধ হয়ে নয় বরং নারীরা বাড়ির বাইরে নিজেদের কর্মস্থল বা প্রয়োজনের তাগিদে ছুটে চলেছেন দিন থেকে রাত সবসময়। নারীদের নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়েই দিনাতিপাত করতে হয়। সবচেয়ে টানাপোড়েনের দিন যায় মাসিকের সময়মগুলোতে; যখন নিজেকে হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও টিকিয়ে রাখতে, পরিপাটি করে তুলে ধরতে বা অধিক গুরুত্ববহ স্বাস্থ্যসুরক্ষার খাতিরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন পড়ে। শহরায়ন বা নগরায়নের এই দৌঁড়ের মাঝে নারী যেনো পিছিয়ে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখা একান্ত প্রয়োজন। তাদের সুস্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখাটাও ঠিক ততোটা জরুরী।

শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে যেমনঃ শপিংমল, খের মাঠ, পার্ক বা উদ্যান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল প্রভৃতি স্থানে নারীবান্ধব টয়লেট নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এছাড়াও, ফুটপাতে অস্থায়ী মোবাইল টয়লেটের প্রচলন আজকাল দেখা গেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। টয়লেটগুলো খোঁজার ক্ষেত্রে সহজ কোনো মানচিত্র, চিহ্ন বা সংকেত এমনকি GPS পদ্ধতির সাহায্যে Apps এর মাধ্যমে পাবলিক টয়লেট খুঁজে পাবার ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
সমাজের চলা আসা নিয়ম নারী আর পাবলিক টয়লেটের মাঝে এক দূরত্বের সৃষ্টি করছে। সংশ্লিষ্ট বিষয় বিবেচনা দ্বারা নারীর জন্য টয়লেটের ধারণা থেকে বের হয়ে শিরোনামটিতে তাই উল্লেখ করা হয়েছে নারী বনাম পাবলিক টয়লেট।

ফাতিমা তুজ-জান্নাত অনন্যা
শিক্ষার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.