উইমেন চ্যাপ্টার: তৈরি পোশাক শিল্পে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুত একশ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসছে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা ভিত্তিক ‘অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি’র একটি প্রতিনিধি দল।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা এখবর জানিয়েছে। বিজিএমইএ জানায়, ওই সফরের সময় ঋণ ব্যবহার সম্পর্কিত সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর অক্টোবরের শেষ নাগাদ এই ঋণ বিতরণ শুরু হবে।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, গত নভেম্বরে তাজরীন ফ্যাশন্সে অগ্নিকাণ্ড এবং এপ্রিলে সাভারের রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক শ্রমিক নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিক্রেতাদের ভূমিকা নিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। আর সেই প্রেক্ষাপটে জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ১৭টি ব্র্যান্ডের বিক্রেতাদের জোট ‘অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি’ বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে জোটের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে। আর সে সময়েই ঐ প্রতিনিধি দল এখানকার ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানা চিহ্নিত করবে এবং কর্মপরিবেশ নিরাপদ করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার এমন প্রতিষ্ঠাগুলোকে নির্বাচন করার পর কাজটি করা হবে।
সংগঠনের সহ সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম জানিয়েছেন, অ্যালায়েন্সভুক্ত ব্রান্ডের পোশাক উৎপাদনকারী কারখানাগুলোর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন এবং অগ্নি নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই এমন ৫০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই ঋণ বিতরণ শুরু হবে।
১০০ মিলিয়ন ডলারের এই ঋণ অ্যালায়েন্স থেকে বাংলাদেশের একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে সরাসরি কারখানা মালিকদের দেওয়া হবে। আর অক্টোবরের শেষ নাগাদ এই ঋণ বিতরণ কাজ শুরু হবে।
বিবিসি আরও জানায়, ঋণের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য ইতিমধ্যেই এ্যালায়েন্স একটি বোর্ড গঠন করেছে। আর সেই বোর্ডের একজন প্রতিনিধি থাকবেন বাংলাদেশে যিনি নিজস্বভাবে ঋণ মনিটরিং করবেন বলে জানিয়েছেন মি. আজিম।
‘অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি’ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্রান্ডগুলো হচ্ছে- গ্যাপ, ওয়ালমার্ট, জেসি পেনি, মেসি’স, টার্গেট, টায়ার এবং হাডসন্স বে।