
উইমেন চ্যাপ্টার: সচিবালয়ের নিচে এসে যখন তিনি দাঁড়ালেন, বাইরে প্রবল বৃষ্টি। তাঁর সাথে জনাকয়েক পরিচিত মুখ, কেউ সাংবাদিক, কেউ নাট্যব্যক্তিত্ব। সবাই গাড়ির অপেক্ষায়। চালকরাও ব্যতিব্যস্ত কারশেড থেকে গাড়ি বের করে আনতে। কিন্তু মন্ত্রীর গাড়ি ছিল সচিবালয়ের সামনে প্রধান সড়কে, কিছুটা দূরে। মূহূর্ত থামলেন তিনি। তারপর চিরাচরিত নিয়মে হনহন করে হেঁটে গেলেন গাড়ির দিকে। বৃষ্টিতে একেবারে ভিজে জবজবে হয়ে গাড়িতে গিয়ে বসলেন।
এই তিনি আর কেউ নন, তিনি মতিয়া চৌধুরী, একসময়ের অগ্নিকন্যা হিসেবে পরিচিত, আর বর্তমানের কৃষিমন্ত্রী।
ঘটনাটি সোমবার বিকেলের। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা জানায়, ৭১ বছর বয়সী মতিয়া চৌধুরী অনেক সিনিয়র কর্মকর্তার সঙ্গে তার কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর সচিবালয়ের নিচ তলায় এসে থামতে বাধ্য হন। বাইরে তখন প্রবল বৃষ্টি। তারপরই দ্রুত গতিতে বৃষ্টির মধ্যেই তিনি নেমে যান এবং দ্রুত হেঁটে তার গাড়িতে গিয়ে উঠেন।
তিনি এমনকি কোন ওড়না বা ছাতা নেয়ার জন্যও এক মুহূর্ত ভাবেননি, যেখানে তাকে এ ধরনের সেবা দেয়ার জন্য অনেকেই প্রস্তুত ছিলেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি) মহাপরিচালক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজী আখতার আহমেদ এবং সিনিয়র কর্মকর্তারা এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
এই অবস্থায় কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কারণ, অতিথিদের গাড়িগুলোর জন্য আগেই শেড পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। মন্ত্রীর গাড়ি ছিল প্রধান সড়কে অপেক্ষাকৃত বেশ দূরে। চালকরা এই সময় পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য কার শেডে মন্ত্রীর গাড়ি নিয়ে আসার জন্য পথ বের করার চেষ্টা করছিল।
কৃষিমন্ত্রীর এই কাণ্ড দেখে সেখানে উপস্থিত একজন বলেই ফেললেন, ‘এই হচ্ছেন মতিয়া চৌধুরী।’