উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর এক আদেশে বলা হয়, পুনর্বিবেচনার আবেদন সাত দিনের মধ্যে না করায় তা গ্রহণযোগ্য নয়।
১ আগস্ট ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিলেও ইউসুফের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন ২৪ আগস্ট।
সোমবার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন রানা দাশগুপ্ত।
আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ার পরে আসামিপক্ষের পক্ষের আইনজীবী সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আদেশের সার্টিফায়েড কপি সময়মতো না পাওয়ায় সময়মত আবেদনটি করতে পারেনি তারা।
তিনি বলেন “১ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করার পর ওইদিনই আমরা সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন করি। কিন্তু রেজিস্ট্রার অফিস ১৩ আগস্ট সেটি ইস্যু করে। এরপর ১৮ আগস্ট আমরা ওই আদেশের কপি হাতে পাই।”
গত ১ আগস্ট ইউসুফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তার বিচার শুরুর করার আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
৫ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রথম শুনানির কথা রয়েছে।
প্রসিকিউশনের অভিযোগ আমলে নিয়ে ১২ মে ইউসুফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে তাকে ধানমণ্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশে পাকিস্তানিদের গঠন করা কথিত মালেক সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য এই ইউসুফ পরবর্তীতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্বও পালন করেছেন।
ইউসুফের বিরুদ্ধে ৯৬ জন সদস্য নিয়ে খুলনার আনসার ও ভিডিপি ক্যাম্পে সশস্ত্র রাজাকার বাহিনী প্রতিষ্ঠা করে প্রায় ৭০০ জনকে হত্যা, ৩০০ বাড়ি ও ৪০০ দোকান লুটের পর অগ্নিসংযোগ এবং ২০০ হিন্দুকে ধর্মান্তর করার অভিযোগ এনেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দালাল আইনে ইউসুফের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও আইনটি বাতিল হলে তিনি ছাড়া পান।