উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: নির্যাতনের শিকার ভিকারুননিসা নূন ওই স্কুলের ছাত্রীর ‘ক্যামেরা ট্রায়ল’ বিস্তারিত প্রকাশ করায় যুগান্তর ও সমকালের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে নোটিস দিয়েছে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোহাম্মদ ফোরকান মিয়ার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আরিফুর রহমান এই আদেশ দেন।
পত্রিকা দুটির প্রকাশক, বার্তা সম্পাদক ও ওই দিনের আদালত প্রতিবেদককে আগামী ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে হলা হয়েছে।
আবেদনে ওই কৌঁসুলি বলেন, “ক্যামেরা ট্রায়ালের এ খবর প্রকাশিত হওয়ায় শিশুর সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে।”
গত ২২ আগস্ট অভিযুক্ত শিক্ষক পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ওই ছাত্রী রুদ্ধদ্বার এজলাসে সাক্ষ্য দেন।
আদালতকে দেয়া তার ওই জবানবন্দি সমকাল ও যুগান্তর সবিস্তারে প্রকাশ করে।
আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ১১ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০(৬) ধারা মোতাবেক ওই ছাত্রীর সাক্ষ্য রুদ্ধদ্বার এজলাসে নেয়ার সিদ্ধান্ত হলে ২২ আগস্ট এক ক্যামেরা ট্রায়ালে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
আইনের ২০(৬) ধারায় বলা রয়েছে- “কোনো ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কিংবা ট্রাইব্যুনাল স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত মনে করলে এই আইনের ধারা ৯-এর অধীন অপরাধের (ধর্ষণ মামলার বিচার) বিচার কার্যক্রম রুদ্ধদ্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত করতে পারবে।”
সাক্ষ্য দেয়ার সময় হাকিম ছাড়া ছিলেন আসামি পরিমল, তার আইনজীবী, ওই ছাত্রীর ব্যক্তিগত আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর।