তসলিমা নাসরিন: ভারতের মুম্বাইয়ে একজন নারী ফটো সাংবাদিককে পাঁচজন পুরুষ মিলে গণধর্ষণ করেছে। এটা সর্বশেষ আলোচিত ঘটনা। এর আগে দিল্লিতে গণধর্ষণের ঘটনায় সারা ভারতজুড়ে ব্যাপকহারে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লেও ধর্ষণ কি কমেছে সমাজে? কমেনি। এরপরও বহু শিশু, মেয়ে এবং নারী নিকৃষ্টতম ধর্ষণের শিকার হয়েছে, খুনও হয়েছে। এখন মুম্বাইয়ের মতো ব্যস্ততম শহরের কেন্দ্রস্থলে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন একজন ফটো সাংবাদিক।
নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, কারণ নারীরা এখনও এই সমাজে নগণ্য বলেই বিবেচিত হচ্ছে। অনেকেই ধর্ষকদের প্রতি ক্ষোভ জানাচ্ছেন, তারা তাদের ‘পুরুষ’ বলেই গণ্য করতে রাজী নন। তাদের মতে, ধর্ষকরা হচ্ছে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’। তাদের দাবি, এসব ধর্ষকদের হয় ফাঁসিতে ঝোলানো হোক, অথবা লিঙ্গচ্ছেদ করা হোক।
কিন্তু সত্য কথা হলো যে, ধর্ষকরা সবাই পুরুষ এবং তাদের কেউই মানসিকভাবে অসুস্থ না। এবং তাদের জন্য কোন শাস্তিও এখন পর্যন্ত নির্ধারিত হয়নি। সুতরাং যে যেভাবেই ধর্ষণকে সমাজ থেকে উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, ধর্ষণ স্বরূপে এবং নারীর প্রতি সহিংসতা কখনও বন্ধ হবে না ততদিন, যতদিন না সমাজ থেকে পুরুষতান্ত্রিকতা এবং নারীবিদ্বেষী ভাব দূর হবে।
‘সেঁকেলে’ না, শব্দটা ‘সেকেলে’। বাংলা নির্ভুল হওয়া কাম্য।
ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো।