মাদ্রাসা অধ্যক্ষের ধর্ষণ ও ধর্ষক-নিয়ন্ত্রিত রাজনীতি

আলী আদনান:

এক.

সাভারের আশুলিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ তৌহিদ বিন আজহারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাদ্রাসার এক ছাত্রী যার বয়স এগারো বছর, তাকে চা বানানোর জন্য নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ধর্ষণ করে। অন্য সকল ধর্ষণের ঘটনার মতো এখানেও ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখানো হয় যাতে সে কাউকে কিছু না জানায়। আশুলিয়া থানায় মেয়েটির বাবার করা মামলার প্রেক্ষিতে ধর্ষক তৌহিদ বিন আজহারকে বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের কাফরুল থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সেই একই ঘটনা। ফেনীর নুসরাতকে অধ্যক্ষ নিজ কক্ষে ডেকে নিয়েছিল সেবা নেওয়ার জন্য। পরে তাকে নানাভাবে ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয় এবং এসব ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হয়। সর্বশেষ ঘটনা ধামাচাপা দিতে নুসরাতকে খুন পর্যন্ত করা হয়। এখানেও ভিকটিমকে নিজ কক্ষে ডেকে নেওয়া হয় চা বানিয়ে দেওয়ার জন্য। ঘটনার দিন ধর্ষক তৌহিদ বিন আজহারের স্ত্রী বাসায় ছিলেন না।

যখন দিহান আনুশকার ঘটনাটি ঘটলো ভার্চুয়াল জগতে পক্ষে বিপক্ষে এটা নিয়ে হৈচৈ শুরু হলো। তখন একটা পক্ষ আওয়াজ তুলল গ্রুপস্টাডির বিরুদ্ধে। আওয়াজ তুলল ছেলে মেয়ে একে অপরের বন্ধু হতে পারবে না – এই দাবিতে। কেউ কেউ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বিরুদ্ধে বলেছে এবং এখনো বলছে। এসব মুমিন বান্দাদের উদ্দেশ্যে জানতে চাই, এই মাদ্রাসা প্রিন্সিপালরা কী গ্রুপস্টাডির উদ্দেশ্যে ছাত্রীদের রুমে ডেকে নেন? এসব ঘটনায় কী ছাত্রীটি প্রিন্সিপালের সাথে বন্ধুর মতো ঘনিষ্ট হয়ে মেশে? বা এই অধ্যক্ষ ও ছাত্রীর সম্পর্ক কী বন্ধুর মতো?

আমি গবেষক নই, অ্যাক্টিভিস্ট। আমি শুধু প্রশ্নটা করে যাই। উত্তরটা গবেষকরাই দিবেন। শুধুমাত্র ২০২০ সালে দেশের মাদ্রাসাগুলোতে বলাৎকার ও ধর্ষণ জাতীয় ঘটনা কয়টা ঘটেছে, আর আনুশকার মতো ( বন্ধুর ফ্ল্যাটে) ঘটনা কয়টা ঘটেছে? আনুশকা নিজ থেকে একা ফ্রেন্ডের বাসায় যাওয়ার ফল না হয় ভোগ করেছে (আপনাদের বক্তব্য অনুযায়ী) কিন্তু নুসরাত থেকে আশুলিয়ার ছাত্রীটি পর্যন্ত এসব ঘটনায় ছাত্রীটি প্রিন্সিপালের রুমে না গিয়ে উপায় কী?

আনুশকার ঘটনায় খুব জোর দিয়ে আনুশকার পরিবারকে দোষারোপ করেছেন এবং এখনো করছেন। আপনাদের যুক্তি তারা আনুশকাকে কেন চোখে চোখে রাখেনি, কেন ফ্রেন্ডের সাথে মিশতে দিত ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু মাদ্রাসার এই নিরীহ ছাত্রীগুলোর বেলায় কী বলবেন? এদের তো বয়ফ্রেন্ড নেই। এরা চলমান পৃথিবীর অনেক সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। খবর পড়ে যা বুঝলাম, আশুলিয়ার ছাত্রীটির একটা মোবাইল ফোন পর্যন্ত নেই। সে একটা চিরকুট লিখে তার একটা বান্ধবীর মাধ্যমে কৌশলে তার বাবা মাকে জানানোর ব্যবস্থা করেছে।

তার যেহেতু ফোন নেই সেহেতু সে ফেসবুক, ইনস্টা- সবকিছু থেকে বঞ্চিত। এসব আবাসিক মহিলা মাদ্রাসাগুলোতে বাইরের কোন যুবক প্রবেশের সুযোগ নেই। ফলে এই মেয়েগুলোর পক্ষে কোন ফ্রেন্ডের সাথে ঘনিষ্ট মেলামেশা তো দূরের কথা, তাদের জীবনে কোন ফ্রেন্ড আসে কিনা – সেটাই সন্দেহ। এদের জীবনে প্রেম আসে না। বিয়ের ক্ষেত্রে এদের নিজস্ব কোন মতামত নেই। এই মেয়েগুলো এমনভাবে বড় হয় স্বামীর সাথে সেক্স করবে কী করবে না, সন্তান নিবে কী নিবে না- এসব নিয়ে এদের কোন মতামত থাকে না। তাহলে? মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হলে মেয়েদের পোশাকের উপর দোষটা চাপান। আপনাদের যুক্তি টেনে নিয়েই বলছি, মাদ্রাসার এই ছাত্রীদের পোশাক কী ঠিক নেই? নাকি তাদের কে একটা বোরকার উপর আরো কয়েকটা বোরকা পড়তে হবে?

দুই.

আট-দশদিন আগে ফেনীতে ধর্ষক সিরাজউদ্দৌলার মুক্তির দাবিতে দোয়া মাহফিল করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। বাহ! এই না হলে রাজনীতি! রাজনীতিবিদরা নিপীড়িতের পক্ষে থাকার কথা ছিল। আর এখন সেখানে ধর্ষকের শাস্তি মওকুফ হওয়ার আকুতি জানিয়ে দোয়া মাহফিল করছে আওয়ামী লীগ ( যারা নিজেদের সবসময় প্রগতিশীল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী দাবি করে।) ধর্ষকের মুক্তি চাওয়া যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী সংগঠনের দাবি হয়, তাহলে স্বীকার করতে হয়- দলটির আনাচে কানাচে এমন অনেক বদমায়েশ শক্ত অবস্থানে আছে যাদের গায়ের চামড়ার নিচে চর্বি জমে গেছে এবং এরা ‘মুক্তিযুদ্ধ’ কথাটাই বুঝে না। তাদের কাছে ‘ধর্ম’ যেমন সাইনবোর্ড, ‘মুক্তিযুদ্ধ’ কথাটাও সাইনবোর্ড।

এই সাইনবোর্ডগুলোর ধারকবাহকরা শক্তের ভক্ত নরমের যম। মাদ্রসা অধ্যক্ষের মুক্তির জন্য দোয়া মাহফিল হয়। কারণ মাদ্রাসা অধ্যক্ষের টাকা আছে। মাদ্রাসা অধ্যক্ষের লবিং আছে। মাদ্রাসা অধ্যক্ষের সাথে রাজনীতি আছে৷ মাদ্রাসা অধ্যক্ষের সাথে ভোট আছে। বেচারা নুসরাত! তার সাথে কিছুই নেই। সমাজে দলিত হওয়া সাধারণ মানুষদের সাথে টাকা থাকেনা, ক্ষমতা থাকেনা, অন্যদের ভোট নিয়ন্ত্রণ দূরের কথা নিজের ভোটটাও থাকেনা, প্রভাব থাকেনা, দোয়া মাহফিলও থাকেনা।

দোয়া মাহফিলের ফলাফলে কোন অলৌকিক ঘটনা ঘটবে কী ঘটবে না – এমন তর্ক হাস্যকর। দোয়া মাহফিল দিয়ে কারো ভবিষ্যত পাল্টায় না। দোয়ায় যদি কাজ হতো তাহলে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডিত জামাত নেতা নিজামী, মুজাহিদ, সাকা চৌধুরীদের ফাঁসী হতো না। দোয়ায় কাজ হলে চাঁদে চেহারা দেখা যাওয়া দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকেও কারাগারে থাকতে হতো না। দোয়ায় অনেককিছু উল্টে যেত। দোয়ায় কারো কিচ্ছু যায় আসে না৷ কিন্তু দোয়ার মাধ্যমে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ধর্ষক সিরাজউদ্দৌলাকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা সমর্থন দিল এবং তাও ক্ষমতাসীন দলের ব্যানারে- এটা একটা মেসেজ দেয়। মেসেজটা হলো, সিরাজউদ্দৌলা একা নয়, তার পেছনে শক্তি আছে, পুরুষতন্ত্র আছে, রাজনীতি আছে, ক্ষমতা আছে।

আচ্ছা শুধু আওয়ামী লীগের দোষ দিচ্ছি কেন? আওয়ামী লীগ না হয় ধর্ষকের পক্ষে দোয়া মাহফিল করেছে। কিন্তু ধর্ষিতার পক্ষে কে কী করেছে? এটা দোয়া মাহফিলের অলৌকিক গুরুত্বের প্রশ্ন নয়, দোয়া মাহফিলের দৃশ্যত যে প্রভাব তার বিরুদ্ধে কোন কর্মসূচী তো কেউ দেয়নি। বিএনপি দেয়নি, সিপিবি দেয়নি, চৌদ্দ দলে বিশ দলে এত শরীক দল তারা কেউ দেয়নি।
প্রগতিশীল, প্রগতিবাদী, ভারতপন্থী, পাকিস্তান পন্থী, এরদোয়ান পন্থী, ট্রুডো পন্থী, ডান, বাম- সবাই কোন না কোন ভাবে সুবিধাবাদী ও ক্ষমতালোভী। মুখে যতোই আওয়াজ করুক না কেন ভেতরে ভেতরে প্রত্যেকেই ক্ষমতার পূজারী। প্রত্যকেই এক একটা দোকান। দোকানের নাম আলাদা। কিন্তু ভেতরে মালামাল এক। ব্যবসায়ীরা যেমন নিজেদের কম্যুনিটির স্বার্থ ঠিক রাখে এই রাজনৈতিক দল দাবিদার দোকানদাররাও নিজেদের কম্যুনিটির স্বার্থের ব্যাপারে এক ও ঐক্যবদ্ধ।

সমাজে সেই ধর্ষিতা হয় যার কোথাও বিন্দুমাত্র প্রভাব নেই। যার প্রভাব নেই রাজনীতি কখনোই তার পাশে দাঁড়ায় না। যার প্রভাব নেই গণমাধ্যম তাকে বেশীক্ষণ সাপোর্ট দেয়না। মসজিদে যে বেশী টাকা দেয় ইমাম সাহেব মোনাজাতের সময় তার নামটাই জোরে ও আলাদা করে উচ্চারণ করে। তেমনিভাবে যার প্রভাব আছে, যার পেছনে বা যার নিয়ন্ত্রণে রাজনীতি আছে- দোয়া মাহফিল তাদের জন্যই হবে।

যেহেতু রাজনীতি পুরুষতান্ত্রিক সেহেতু একজন ধর্ষিতার জন্য কান্নাকাটি কোন রাজনৈতিক দলও বেশীক্ষন করার পক্ষে নয়৷ আমাদের রাজনীতি বাইরে যাই হোক না কেন ভেতরে মৌলবাদ নির্ভর। এরা সকলেই এক নায়ের মাঝি। এই মাঝিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় মাদ্রাসা, নিরাপদ সাইনবোর্ড ধর্ম, নিরাপদ কর্মসূচী দোয়া মাহফিল। এদের এজেন্ট সিরাজউদ্দৌলা থেকে তৌহিদ বিন আজহার।

তিন.

বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সমাজের পিছিয়ে পড়া পরিবারের সন্তানেরাই মাদ্রাসায় পড়ে। এসব শিক্ষার্থীদের বেশীরভাগ তারাই যাদের পরিবারে কোন প্রভাবশালী নেই, টাকা পয়সার জোর নেই, উঁচু আওয়াজ দেওয়ার শক্তি নেই। ফলে এসব পরিবারের ছেলে শিশুরা দীর্ঘদিন পায়ু ধর্ষণের শিকার হলেও বা মেয়েরা নানা ধরনের যৌন সহিংশতায় ভুগলেও সবগুলো ঘটনা নিয়ে খুব বেশী হৈচৈ হয়না।

অনেকগুলো ঘটনার মধ্যে অল্পকিছু ঘটনা মিডিয়ার নজরে আসে ও কিছুদিন হৈচৈ হয়। ভৌগোলিক ব্যাপার, ভিকটিমের অবস্থান এসবের উপরও অনেককিছু নির্ভর করে। রাজধানীর কলাবাগানে একটা ঘটনা ঘটলে যতো বেশী মিডিয়া কাভারেজ পাওয়া যাবে দিনাজপুরের প্রত্যন্ত কোন গ্রামে ঘটলে তা কখনোই একইরকম মিডিয়া কাভারেজ পাবে না। যেমনভাবে আমরা ভুলে গেছি সুবর্ণচরের গৃহবধূর কথা বা বেগমগঞ্জে শ্লীলতাহানি হওয়া সেই নারীর কথা যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল।

নুসরাত যদি আগুনে পুড়ে না মরত তাহলে সিরাজউদ্দৌলার ক্ষমতায় আঁচড় লাগতো না। আরো অনেক মেয়েকে নীরবে অত্যাচার, অপমান সহ্য করতে হতো। এই সিরাজউদ্দৌলাই আবার মঞ্চে বসে কোথায় পর্দা নিয়ে কী হাদীস আছে তা বর্ণনা করে বাহবা পেত। আশুলিয়ার মাদ্রাসা ছাত্রীটি যদি মুখ বুঁজে সহ্য করে যেত তাহলে আমিও এ লেখা শুরু করার ইস্যু পেতাম না। অর্থাৎ, বেশীরভাগ ধর্ষণের ঘটনাই ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। আমরা অসংখ্য সিরিয়াল পায়ুধর্ষকের সংবাদ প্রায় পত্রিকায় ছাপা হতে দেখি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ঘটনার সুরাহা হতে দেখিনি। ধর্ষক শাস্তি পেয়েছে- এমন উদাহরণ কয়টি আছে দেশে?

আমিন জুয়েলার্সের ছেলে বা সুবর্ণচরের ধর্ষক আসলেই ধর্ষক এটা সাধারণ মানুষ যতো সহজে বিশ্বাস করে, ধর্মীয় লেবাসধারী অধ্যক্ষ ধর্ষক এটা বিশ্বাস করতে অভিভাবক, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি, সমাজ কেউই রাজী নয়। সমাজে বেশীরভাগ লোক তারাই যারা মনে করে হুজুরদের সমালোচনা করলে, তাদের দোষ ধরলে বেহেশতে যাওয়ার সুযোগ হারাতে হবে। ধর্মীয় লেবাস পড়লে তাকে সকল লোভ লালসার উর্দ্ধে ভাবে এমন লোক এ সমাজে এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠ।

আলী আদনান

পঁচে যাওয়া রাজনীতি, পুঁজিনির্ভর আমলাতন্ত্র, মৌলবাদ ও পুরুষতন্ত্রের কাছে জিম্মি শিক্ষা ও সমাজব্যবস্থায় ধর্ষণ কমানো যাবে না। ধর্মনির্ভর হায়েনাদের বিষদাঁত যদি রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী হয়- সেখানে ভাল কিছু আর যেই আশা করুক, আমি করি না। অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, সকল ধর্ষকের পেছনে কী মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আছে? সকল ধর্ষণের পেছনে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ না থাকলেও সকল ধর্ষণের পেছনে মৌলবাদ ও পুরুষতন্ত্র আছে। সকল ধর্ষকই কোন না কোন ভাবে মৌলবাদ ও পুরুষতন্ত্রের উপর আশ্রিত। মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও তেমনি একজন। মাদ্রাসা সাইনবোর্ড তাকে অপকর্মের আরো বেশী সুযোগ করে দেয়।

যেখানে মাদ্রাসার সাইনবোর্ড থাকে না সেখানে ক্ষমতার অন্যকোন সাইনবোর্ড থাকে। সুবর্ণচরের ঘটনায় ধর্ষকের রাজনৈতিক সাইনবোর্ড ছিল। আমিন জুয়েলার্সের ছেলের বেলায় বাপের ক্ষমতা সাইনবোর্ড হিসেবে কাজ করেছে। এককথায় দুর্বল কখনো সবলকে ধর্ষণ করে না। করলেও সংখ্যায় তা খুবই নগণ্য। বরং সবল দুর্বলকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শোষণের একটা রূপ মাত্র। আর ধর্ম ও রাজনীতি শোষণের হাতিয়ার।

আমাদের লড়াইটা হতে হবে মৌলবাদের বিরুদ্ধে, পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে। শোষকের বিরুদ্ধে।
মৌলবাদের মূলোৎপাটন করা গেলে, পুরুষতন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিলে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের লিঙ্গ এমনিতেই নেতিয়ে থাকবে। ধর্ষক সে যেই হোক, তাকে ও সে যে সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সে সাইনবোর্ডকে সকল জায়গায় সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার বিকল্প নেই।

সরকার দ্রুত মৌলবাদের কারখানা খ্যাত মাদ্রাসাগুলোর ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিবে, শোষক শোষিতের সম্পর্ক নয় বরং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাণে সমতাভিত্তিক অবস্থান নিশ্চিত হবে, আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশের সকল শিক্ষার্থীকে আধুনিক যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আনার পদক্ষেপ নিবে, ধর্ম
ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে আরো সতর্ক হবে, ধর্ষকের শাস্তি কার্যকরে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

(লেখক: আলী আদনান, লেখক, সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট। mail: [email protected])

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.