কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে ঐশী ও সুমি

Police couple
নিহত পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী

উইমেন চ্যাপ্টার: পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত তাদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমান ও গৃহকর্মী সুমিকে গাজীপুর কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবারই আদালত তাদের সেখানে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে কোনাবাড়ী কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর ঐশীর আচরণে কোনধরনের অস্বাভাবিকতা ছিল না বলে জানিয়েছেন সেখানকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

কেন্দ্রের সহকারী তত্ত্বাবধায়ক তাসলিমা বেগম বলেন, কেন্দ্রটিতে অপরাধী কিশোরীদের মানসিক পরিবর্তনে কাউন্সেলিং দেওয়া হয়। এছাড়া ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি হাতের কাজের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়।

উন্নয়ন কেন্দ্রে শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত ঐশীর পরিবারের কেউ দেখা করতে যাননি বলে জানান তত্ত্বাবধায়ক।

গত ১৬ অগাস্ট ঢাকার চামেলীবাগে নিজের ফ্ল্যাট থেকে পুলিশের এসবির পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত দম্পতির সন্তান অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ও লেভেল পড়ুয়া ছাত্রী ঐশী রহমান পরদিন নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দেয়। পুলিশ তখন এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তার বন্ধু মিজানুর রহমান রনি ও গৃহকর্মী সুমিকে আটক করে। পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে শনিবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে ঐশী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এতে সে একাই তার বাবা-মাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে। পরে আদালত তাকে ও সুমিকে কিশোরী অপরাধ সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। অন্যিদিকে ঐশীর বন্ধু রনিকে আরও পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.