জবানবন্দির পর ঐশী কারাগারে

Police couple
ঐশীর নিহত বাবা ও মা

উইমেন চ্যাপ্টার: মা-বাবাকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেওয়ার পর অভিযুক্ত কিশোরী ঐশী রহমান ও তাদের বাসার গৃহকর্মী খাদিজা সুমিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আইনজীবীরা জানান, পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে আজ তাদের আদালতে পাঠানো হলে উপরোক্ত দুজনই তাদের দোষ স্বীকার করে আদালতের কাছে জবানবন্দি দেয়।

১৬৪ ধারায় দেওয়া এই জবানবন্দিতে ঐশী রহমান তার মা-বাবাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বিচারক তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার পর তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে মামলার এজাহারে ঐশীর বয়স ১৭ উল্লেখ করা হলেও, ডাক্তারি পরীক্ষায় তার বয়স ১৯ বছর শনাক্ত হয়েছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।

অপরদিকে গৃহপরিচারিকা সুমীর বয়স ১৫ বছর বলে শনাক্ত করা হয়েছে।

আজাদ রহমান বলেছেন, এখন এই বয়স অনুযায়ীই তাদের বিচারকাজ চলবে। গৃহপরিচারিকা সুমিকে গাজীপুরের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ঐশী মানসিকভাবে সুস্থ নয় এই যুক্তি তুলে ধরে তার পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ না করার জন্য আবেদন করেছিলেন।

এদিকে ওই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

গত ১৬ আগস্ট ঢাকার চামেলীবাগে নিজেদের ফ্ল্যাট থেকে ঐশীর পিতা পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ঐশী পালিয়ে থাকলেও পরদিন নিজে থেকেই এসে ধরা দেয় পুলিশের কাছে।

শেয়ার করুন: