উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: পাঁচ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে নিহত ওই পুলিশ দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমান।
শনিবার দুপুরে এই কিশোরীকে ঢাকার মহানগর হাকিম আনোয়ার সাদাতের আদালতে নেয়া হলে ঐশী এই জবানবন্দি দেন।
ওই আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আব্দুল গাফফার তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ সময় ঐশীর সঙ্গে আটক বাড়ির গৃহকর্মী খাদিজা খাতুন সুমি এবং ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকেও আদালতে হাজির করা হয়।
ঐশী ছাড়াও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গৃহকর্মী সুমি।
তবে রনি বিষয়টি স্বীকার না করায় তাকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে নতুন করে আবেদন করা হয়েছে।
আবেদনটির শুনানি হবে হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে।
ঐশী সহ এই তিনজনকে গত ১৮ অগাস্ট পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল ঢাকার হাকিম আদালত।
গত ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় পুলিশ দম্পত্তি মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের একদিন পর ১৭ আগস্ট দুপুরে তাদেরই সন্তান ঐশী পল্টন থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ও লেভেলের ছাত্রী ঐশী রহমানই তার বাবা ও মায়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে পুলিশের দাবি।
তবে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার ছোট ভাই মশিউর রহমান রুবেলের ধারণা হত্যাকাণ্ডের মধ্যে অন্য কোনো ‘রহস্য’ রয়েছে।