মনিকা বেগ:
নারীরা যত রকম ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, তার মধ্যে ‘স্তন ক্যান্সার’ একেবারে শীর্ষে অবস্থান করছে। আগে মনে করা হতো, উন্নত বিশ্বের নারীরা স্তন ক্যান্সারে অপেক্ষাকৃত বেশি আক্রান্ত হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ কম নয়।
ধারণা করা হয়, উন্নয়নশীল দেশ গুলোতে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি, গৃহীত পশ্চিমা জীবনধারা এবং নগরায়নের দ্রুত প্রসারের সাথে স্তন ক্যান্সারের একটি সরাসরি যোগাযোগ আছে।
কিন্তু এগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে, আমাদের দেশে না বেড়েছে স্তন ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতা, না তৈরী করা হয়েছে স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য একটি সমন্বিত স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা। এর সাথে যোগ হয়েছে, পারিবারিক এবং সামাজিক পর্যায়ে শত শত বছর ধরে চলে আসা বিভিন্ন রকমের কুসংস্কার, কু-প্রথা, এবং কু-বিশ্বাস।
যার ফলে, নারীরা এগুলো নিয়ে সহজে কথা বলতে চান না। স্তন ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলেও, তারা লজ্জায়-সংকোচে-ভয়ে সেগুলো লুকিয়ে রাখেন। যখন আর সহ্য করতে না পেরে তারা ডাক্তারের কাছে যান, তখন হয়তো অনেক দেরী হয়ে যায়।
শুরুতেই রোগ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসা দিয়ে যেই রোগীকে সহজেই বাঁচানো যেত, দেরিতে রোগ নির্ণয় হওয়ার কারণে সেই রোগীকেই তখন প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে হয়।
সুতরাং, স্তন ক্যান্সারের সফল চিকিৎসার জন্য শুরুতেই রোগ নির্ণয় করার কোনো বিকল্প নেই। (চলবে)
ডাক্তার মনিকা বেগ,
প্রধান এবং বৈশ্বিক সমন্বয়ক (অবসরপ্রাপ্ত),
এইচআইভি/এইডস সেকশন,
জাতিসংঘ সদর দপ্তর,
ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া।