উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: হেফাজতের নাশকতা রোধে অভিযানে ‘নিহতের’ সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত প্রতিবেদন ছেপে চাপের মধ্যে থাকা মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কমিশনের উপপরিচালক মো. হারুন উর রশিদ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝিতে তাদের কাছে আসা এই অভিযোগটি বর্তমানে অনুসন্ধানাধীন।
তিনি বলেন, “এনজিও ব্যুরো থেকে আসা কাগজপত্র এবং ‘অধিকার’র জব্দকৃত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”
মতিঝিল থেকে হেফাজতকে সরাতে অভিযান নিয়ে বিকৃত তথ্য প্রকাশের অভিযোগে অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান শুভ্রকে তথ্য প্রযুক্তি আইনে দুই সপ্তাহ আগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অভিযোগটি কারা করেছে এ বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতার কারণ দেখিয়ে কোন কোন জবাব দেয়া হয়নি দুদকের পক্ষ থেকে।
তবে দুদকের এই কমিশনার জানান, অধিকারের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা থেকে পাওয়া অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ এনেছে অভিযোগকারীরা।
অভিযোগ সম্পর্কে দুদক পরিচালক বলেন, “জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে দুদক এর কাছে একটি অভিযোগ আসে। যেখানে বলা হয়, মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আসা কোটি কোটি টাকা ভুয়া খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছে সংস্থাটি।
তিনি বলেন, “বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখিয়ে তারা দাতা সংস্থাগুলোর কাছে টাকা চাইত, যেগুলোর বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই।”
অনুসন্ধান শেষ করে জলদি প্রতিবেদন দিতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন দুদক উপপরিচালক।
এই বিষয়ে দুদক সচিব ফয়জুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। তিনি বলেন, “বিষয়টি অনুসন্ধানাধীন। তা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।”
গত ৫ মে মতিঝিল থেকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সরাতে পরিচালিত অভিযানে ৬১ জন নিহত হয় বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে কথিত মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’। যদিও সরকারের দাবি, রাতের ওই অভিযানে কেউ নিহত হয়নি।
অধিকারের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতদের নাম-ঠিকানা চেয়ে চিঠি দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু অধিকারের পক্ষ থেকে কোন তথ্য দেয়া হয়নি।
এর পর গত ১০ অগাস্ট সংগঠনটির সেক্রেটারি আদিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।