দিলশানা পারুল:
আমি দিলশানা পারুল নারীবাদী, কিন্তু খুব ভালো এবং চরিত্রবান নারীবাদী। কারণ আমি সমাজের নিয়মমতো পোশাক পরি, সমাজের চাওয়া মতো মদ খাই না, গাঁজা খাই না, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে আমার কোন শরীর দেখানো ছবি খুঁজে পাবেন না, আমি পরপুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক করি না। আমি সমাজের নিয়মমতো এক পুরুষে ঘর করি। সমাজের চাওয়া মতো সেই পুরুষের সাথে এক ছাদের নিচে থাকার জন্য আগে কাগজে-কলমে বিয়ে করে নিয়েছি। মুসলমান মতে তিন বার কবুল বলেছি, কাবিন নামায় সই করেছি। বিয়ের আগে দু্ই পরিবারকে জানিয়েছি, পরিবারের সম্মতিতে সবার অংশগ্রহণে আনন্দঘন পরিবেশে বিয়ে করেছি।
মোদ্দা কথা, আমার যৌন সম্পর্কের জন্য সামাজিক এখতিয়ার নিয়ে নিয়েছি। নিয়ে নিয়েছি কারণ আমি ভালো নারী। এবং সমাজের চোখে পরিবারের চোখে সবসময়ই ভালো থাকতে চেয়েছি ।
ছাত্র জীবনে বামপন্থী রাজনীতি করতাম, সাংস্কৃতিক জোটের নেতা ছিলাম, কিন্তু কোনদিন কোন ছেলেদের সাথে গলাগলি, ঢলাঢলি (?) করিনি। জাহাঙ্গীরনগরের মতো ক্যাম্পাসে পাঁচ বছর পড়েছি, কোনদিন কোন গাঁজায় টান দেই নাই, একটা সিগারেটেও টান দেই নাই। কেন? কারণ আমি ভালো নারী। আমাকে ভালো থাকতে হবে, আমি ছাত্রনেতা, আমাকে আমার রেপুটেশন রক্ষা করতে হবে। ক্যাম্পাসের সমস্ত ছেলে নেতারা সিগারেট খেতো, কিন্তু আমরা সংগঠনের নারী নেত্রীরা ভুলেও একটা সিগারেটে টান দেয়ার কথা চিন্তাও করতে পারতাম না। কারণ সংগঠন করতে গেলে, ছাত্র ছাত্রীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেতে গেলে আমাকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী নিজের চরিত্রকে সাজাতে হবে, সংজ্ঞায়িত করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের চাহিদা মানে জাবির সমাজের চাহিদা অনুযায়ী।
আমি ভালো নারী, ওই জন্য আমার ক্যারিয়ার নিয়েও কোন ধরনের কোন এক্সপেরিমেন্ট করিনি। সব ধরনের যোগ্যতা এবং ইচ্ছা থাকার পরও আমি মিডিয়াতে কাজ খুঁজিনি। কেন খুঁজিনি? কারণ মিডিয়াতে কাজ করে মন্দ (?) মেয়েরা। নারীর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ প্রাইভেট স্কুল কলেজ এর শিক্ষক হিসেবে চাকরি নিয়েছি। সাধারণ মানুষের সাথে থেকে কাজ করতে চেয়েছি বলে পরে এনজিওতে কাজ নিয়েছি। কিন্তু জীবন আমাকে শিখিয়েছে কেন আমি নারীবাদী হবো। আমি নারীবাদী এবং চরিত্রবান ভালো নারীবাদী।
আবার অভিনেত্রী এবং এনজিও কর্মী মিথিলাও নারীবাদী। কিন্তু সে চরিত্রহীন এবং মন্দ নারীবাদী। কেন সে মন্দ? কারণ সে এক পুরুষের সাথে ঘর করেনি। দ্বিতীয় পুরুষকে বেছে নিয়েছে জীবন যাপনের জন্য। শুধু তাই না, যৌন সম্পর্ক করার জন্য সমাজের যে প্রতিষ্ঠিত নিয়ম আছে, মানে নারী পুরুষে যৌন সম্পর্ক করার আগে সেইটা সমাজকে জানাতে হয়, কাগজে স্বাক্ষর করতে হয় যে এই একক পুরুষের সাথে আমি যৌন সম্পর্কে যুক্ত হবো, যেই প্রক্রিয়াটাকে বাংলা ভাষায় বিয়ে বলে, সেই সামাজিক প্রক্রিয়ার মধ্যে সে যাওয়ার ধার ধারেনি। সে সমাজের মানুষকে না জানিয়ে, তাদের অনুমতি না নিয়ে একটি পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্কে যুক্ত হয়েছে, কাজেই সে মন্দ এবং চরিত্রহীন নারীবাদী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার খোলামেলা ছবি পাওয়া যাবে। সে মদ খায়, কাজেই সে মন্দ এবং চরিত্রহীন নারীবাদী।
আমি ভালো নারীবাদী, মিথিলা মন্দ নারীবাদী। আমি ম্যাডোনা নারীবাদী, মিথিলা হোর নারীবাদী। এখন আমাদের দু্ই জনের সামাজিক চরিত্রের রুপরেখা এবং গ্রহণযোগ্যতা কি আমাদের এনজিওতে কাজ পরিমাপ করার প্যারামিটার হবে? মানে আমাদের চরিত্র দিয়ে কি আমাদের কাজের দক্ষতা এবং যোগ্যতা যাচাই করা যাবে?
উপরের প্রশ্নটা আসলে মূল প্রশ্ন করতে চাই না। আমার মূল প্রশ্ন হচ্ছে, ম্যাডোনা এবং হোর এর যে আদি এবং প্রতিষ্ঠিত ধারণা, যার উপর ভর করে সমাজের মন্দ মেয়ে ভালো মেয়ের উপ্যাখান দাঁড় করানো হয়েছে, আমাদের নারীবাদীরাও আসলে সেই একই ধারণা পোষণ করছেন কিনা? সেই একই ধারণার স্ক্যালিটনের উপর বসিয়ে নিজেদের মতামত দিচ্ছেন কিনা? এই বিষয়টা ভাবা অসম্ভব জরুরি।
তত্ত্বগতভাবে নারীবাদী হিসেবে আপনি বলবেন, ভাববেন এবং মানবেন যে যৌন সম্পর্ক ব্যক্তিগত বিষয়, ব্যক্তিগত পছন্দ, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে যখন কোনো নারী সেইটা চর্চা করবে, তখন সাথে সাথে তাকে খারাপ মেয়ে লেবেল দিয়ে দেবেন, নারীবাদ করার যোগ্যতা নাই বলে খারিজ করে দেবেন, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের কণ্ঠের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে চরিত্রবান এবং ভালো মেয়ে হওয়ার প্রেসক্রিপশন হাজির করবেন, সেইটা নিজদের সাথে নিজেদের ভণ্ডামি করা কিনা?
মদ খাওয়া, গাঁজা খাওয়া, বিয়ের আগে ছেলেদের সাথে সহবাস করা মানে খারাপ কাজ, এইটা মন্দ মেয়েরা করে, এইটা আমাদের কে শিখিয়েছে? পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। তাইলে আজকে যখন আপনি বা আপনারা নারীবাদের নামে একই কাজগুলোকে খারাপ হিসেবে চিহ্নিত করছেন, তাইলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এবং আপনার নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পার্থক্য কোথায় নিরুপণ হলো? আপনি নারীবাদী হিসেবে তত্ত্ব হিসেবে যা মানবেন, বাস্তব জীবনে কোনো নারী সেইটা বাস্তবায়ন করলে মানতে পারবেন না, সেইটা নিজেদের সাথে ভণ্ডামি হয়ে গেলো না?
বিষয়টা কি এমন যে মদ, গাঁজা যারা খায় এবং অযাচিত যৌন সম্পর্কে যারা যুক্ত থাকে, তারাই ক্রিমিনাল, বা তারাই ক্রাইম করার ক্ষমতা রাখে? বরং সমাজে উল্টাটা আমরা দেখেছি। যাদেরকেই ভিলিফাই করার চেষ্টা করা হয়, তাদেরই এই ধরনের কতগুলো স্বভাবগত দোষ খুঁজে বের করা হয়। বিষয়টা কি এমন যে মদ গাঁজা খাচ্ছে মানেই সে একটা ক্রিমিনাল এক্ট এ যুক্ত ছিলো, এইটা বলে দেয়া যায়? তাহলে তো অস্ট্রেলিয়া, জার্মানী এই সমস্ত দেশে ঘরে ঘরে নারী এবং পুরুষ উভয়েই প্রতি রাতে বড় বড় ক্রাইম এর সাথে যুক্ত থাকতো! কারণ ওইখানে সন্ধ্যাবেলা দুইটা বিয়ার টানবে না এই রকম লোকের সংখ্যা খুবই কম।
একটা হচ্ছে সমাজের সংজ্ঞায় চরিত্রগত ত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা, আরেকটা হচ্ছে ক্রিমিনাল এক্ট। দুইটা সম্পূর্ণ দুই ব্যাপার। এই দু্ইটার মধ্যে আকাশ এবং পাতালের সমানই পার্থক্য। সামাজিক সংজ্ঞায় চরিত্রহীন হওয়া মানেই কেউ ক্রিমনিাল এক্ট এ যুক্ত ছিলো বা যুক্ত আছে এইটা বলা অন্যায়। এবং এইটা সত্যকে ঢেকে দেয়ার জন্য খুবই বিভ্রান্তিকর তরিকা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আপনি যখন কোন মেয়ের বিরুদ্ধে এলিগেশন আনছেন “একটি মেয়েকে মাতাল করে ট্র্যাপে ফেলে তাকে ধর্ষণ এর শিকার হতে সহযোগিতা করেছে”, তখন এইটা সরাসরি ক্রিমিনাল এক্ট। এইটা ক্রাইমের এলিগেশন। এইটার সাথে সম্পৃক্ত নারীর সামাজিক সংজ্ঞায়িত চরিত্রের কোন সম্পর্ক নাই। এইখানে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে এলিগেশন আনা হচ্ছে সে ক্রিমিনাল।
এখন একজন ব্যক্তি ক্রিমিনাল কিনা বা সংগঠিত ক্রিমিনাল এক্ট এর সাথে যুক্ত থাকতে পারে কিনা, এইটা প্রমাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত কতগুলা আইনি তরিকা আছে। একটা হচ্ছে, প্রত্যক্ষদর্শী থাকা যে, হ্যাঁ এই ব্যক্তি এই ক্রাইমটি সংগঠিত করেনি, আমি দেখেছি। এই রকম কেউ না থাকলে বা অভিযোগ নিয়ে সন্দেহ থাকলে অভিযুক্ত ব্যক্তির পূর্ব ইতিহাস দেখা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তির আত্মীয় পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, কর্মক্ষেত্রে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের, মানে যারা তাকে বাস্তব জীবনে চেনে, সমাজে গুরুত্ব বহন করে, তাদের মতামত নেয়া হয়। তার কাজকর্মের ট্র্যাক বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। কমিউনিটির উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তির যুক্ততা কেমন, অবদান কেমন, সেইটা দেখা হয়। পূর্বে তার কোনো ধরনের অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা পুলিশ রেকর্ডে, তা খতিয়ে দেখা হয়। যারা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বাস্তব জীবনে চেনে না, এই রকম ব্যক্তিদের মতামত আইনে গ্রহণযোগ্য না। এই সমস্ত খতিয়ে দেখে তারপর অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে কিনা সে সমন্ধে একটা ধারণা নেয়া হয় এবং উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সে অপরাধী কি অপরাধী না।
আমাদের মতো রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় বিচার, আইন কোন কিছুরই যখন ঠিকঠাক প্রয়োগ নাই, মানুষের যখন আইনি ব্যবস্থার উপর কোন রকম কোন আস্থা নাই, তখন সমাজের মানুষ মব জাস্টিস এর আয়োজন করে। আমরা এই মব জাস্টিসের শিকার হতে দেখেছি রানুকে। রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়েই একদল মানুষ দুই সন্তানের জননী রানুকে ছেলেধরা হিসেবে ধরে ফেললো, মবের মধ্যেই প্রমাণ করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো রানু ছেলেধরা এবং ওই রাস্তাতেই দাঁড়িয়েই বিচারও করে ফেললো, রানু ছেলেধরা, মৃত্যুদণ্ড সাব্যস্ত করলো এবং মৃত্যুদণ্ড এগজিকিউটও করে ফেললো পিটিয়ে মেরে।
শহরে বলি আমার মব জাস্টিস। আর গ্রামে বসে পঞ্চায়েতে বিচার। এই মব জাস্টিসের আয়োজন যে শুধু রাস্তায় হয়, এই রকম না। অনলাইনেও এই মবজাস্টিস এবং পঞ্চায়েতের বিচার আমরা দেখি। অনলাইনের পঞ্চায়েতেও গ্রামের পাঁচজন মোড়লের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মোড়লরা বসে নিজেদের বুঝ মতো, মন মতো বিচার সাজায়, তার পর নিজেদের জ্ঞান, বুদ্ধি এবং বুঝ মতোই ভারডিক্ট ঠিক করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের মতো সমাজে এখন আর শুধু কমিউনিকেশন টুলস নাই। এইটা এখন মোক্ষম অস্ত্র হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। যেহেতু এইটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, কাজেই সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ক্যারিয়ার নষ্ট করার ক্ষেত্রে এই অস্ত্র ভীষণ কাজে লাগছে। রাস্তায় মব জাস্টিসের মাধ্যমে জীবন খুন করা হয় ইট দিয়ে মাথা থ্যাঁতলে, আর এই খানে সামাজিক জীবন খুন করা হয় কী বোর্ডের এক কোপে।
কিছু যায় আসে না একটা মেয়ে বছরের পর বছর ধরে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ মাঠে ঘাটে ঘুরে ঘুরে মেয়েদের জন্য কাজ করলে। এক দশক ধরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে একটা মেয়ে তিল তিল করে নিজের কর্মক্ষেত্রে একটা গ্রহণযোগ্যতা, রেপুটেশন তৈরি করলেও কিচ্ছু যায় আসে না। ফ্রান্সে বসে থেকে কীবোর্ডের এক কোপে বাংলাদেশে বসে কাজ করা একটা মেয়ের ঘাড় থেকে মাথা আলাদা করে ফেলা যায়। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, আমাদের সমাজে একটা মানুষের সারা জীবন ধরে করা কাজকর্ম তার চরিত্র নির্মাণ করে না, তার ব্যক্তিত্বকে সংজ্ঞায়িত করতে পারে না। অনলাইনে চরিত্র নির্মাণ করে সম্পূর্ণ অচেনা ব্যক্তির মনে তৈরি হওয়া ধারণাপ্রসূত কিছু কথা, বক্তব্য। কাজ দিয়ে আমরা ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব সংজ্ঞায়িত করি না, বরং তা করি লোকের কথায়। এবং লোকের কথার উপর নির্ভর করেই সিদ্ধান্তে চলে আসি কোন ব্যক্তি ক্রিমিনাল, কোন ব্যক্তি ক্রিমিনাল না।
শুরু করেছিলাম বাংলাদেশে নারীবাদী চিন্তা ও ম্যাডোনা এন্ড হোর এই ডাইকোটমির ভিকটিম কিনা সেইটা দিয়ে। আমি ভালো এবং চরিত্রবান নারীবাদী কারণ আমি সমাজের কোন তয়তরিকা ভাঙ্গিনি। সমাজের ডেকোরামের মধ্যে থেকে, সমাজের নর্মস মেনে চরিত্রবতী থেকে তারপর সমাজ পরির্বতনের প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত থেকেছি। আমি সমাজের ভালো মেয়ে, সমাজের প্রস্তাবিত নিয়মনীতির মধ্যে থেকে সমাজ পরির্বতনের জন্য কাজ করি। কাজেই কাজ করতে গিয়ে নারী হিসেবে আমি বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়তো হয়েছি, কিন্তু সেই অর্থে আসলে সমাজ আমাকে পাল্টা আঘাত করেনি। আঘাত করেনি, কারণ আমি নারাবাদী, কিন্তু ম্যাডোনা।
মিথিলাকে কিন্তু আঘাত করেছে, কারণ সমাজের সংজ্ঞায় মিথিলা হোর। নারীর জন্য সমাজ যেই যেই তরিকা বেঁধে দিবে তুমি যদি সেই তরিকা মতো না চলো তাহলে সমাজ তোমাকে পাল্টা আঘাত করবেই। অনেকটা কংক্রিটের দেয়ালে আপনি যদি একটা ইট ছুঁড়ে মারেন সেই ইটটা কংক্রিটের দেয়ালে আঘাত করে আবার পাল্টা আপনার দিকেই ফিরে এসে আপনাকেই আঘাত করবে, রক্তাক্ত করবে। আপনি সমাজকে ক্রমাগত আঘাত করবেন, আর আপনি রক্তাক্ত হবেন না, তাতো হবে না। এই আঘাত সমাজের কোন অংশ কখন কোন ফর্মে আপনাকে ফেরত দিবে, আপনি ফ্যামিনিস্ট হোর টেরও পাবেন না।