নারীর গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার কিংবা এর রাজনীতি

ঈশিতা বিনতে শিরীন নজরুল:

নারী-পুরুষের সম্পর্কে যা কিছু দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-সংশয়-অসাম্য ও সংঘাত রয়েছে, তা যদি জাদুকাঠির ছোঁয়ায় উধাও হয়ে না যায়, তবে গর্ভপাত নিয়ে বিরোধ কোনোদিন থামবে না ৷ কেননা মানব অস্তিত্বের ও সমাজের কয়েকটি বুনিয়াদি প্রশ্ন বিষয়টির সঙ্গে জড়িত ৷

‘বোধাই হো’ মুভিটি এ পর্যন্ত আমি অনেকবার দেখে ফেলেছি। এতো সুন্দর বাস্তবভিত্তিক প্লট!! আমরা শুধু চিন্তা করি, অবিবাহিত মেয়েদেরই বোধ হয় গর্ভপাত করানো জায়েজ, কারণ বিয়ের কনট্রাক্ট তার গর্ভধারণকে জায়েজ করে আমাদের দেশে। সমাজ কী বলবে, এই থাকে প্রধান ভয়। বিবাহিত নারীর সন্তান হলে স্বামী ফেলে/ছেড়ে চলে গেলে কোন অসুবিধা থাকে না, কিন্তু অবিবাহিত নারীর পেটে সন্তান এলেই মহাপাপ। আবার, কোন সময়ে বাচ্চা নিতে হবে এটাও কিন্তু সমাজেরই তৈরি করে দেয়া! এ প্রসঙ্গেই ‘বাধাই হো’ মুভিটির কথা বলছিলাম যে, আপনি কখন মা হবেন, হতে পারবেন কী পারবেন না, হওয়া উচিৎ কী উচিৎ না ইত্যাদি সবকিছুই আপনার সমাজ আপনাকে ঠিক করে দিবে, আপনি নয় কিন্তু! যদিও আপনার শরীরেই ভ্রুণটি বেড়ে উঠবে, তারপরেও নয়।

এই মুভিটিতে ৫০ এর কোঠায় থাকা এক মায়ের গল্প বলা হয়েছে যে কিনা হঠাৎই জানতে পারে সে মা হতে চলেছে আবার, যদিও তার বড় সন্তানই বিবাহযোগ্য! এই নিয়েই নানা বিড়ম্বনা তৈরি হয়, পরিবার, প্রতিবেশি, এমনকি নিজের সন্তান পর্যন্ত এই ‘হায় হায় কী হবে, লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে’ টাইপ পরিস্থিতি তৈরি করে!!

তো আমরা কী বুঝতে পারলাম? বেশি বয়সে সন্তান হওয়া যাবে না, অবিবাহিত হলে সন্তান নেয়া যাবে না, বিয়ের পরপরই সন্তান নিতে হবে (অবশ্যই যদি আপনার স্বামী ‍ও শ্বশুরবাড়ি, তাদের আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশি এপ্রুভ করে শুধুমাত্র তারপরে), মেয়ে সন্তান নেয়া যাবে না (এজ ইফ আপনি সন্তান অর্ডার দেয়ার সময় ঠিকমতো অর্ডার দেন না, দিলে পুত্র সন্তানই হতো), ফর্সা সন্তান নিতে হবে, আপনি স্লিম হবেন কী মোটা হবেন ইত্যাদি এবং ইত্যাদি। এই এতোসব নিতে হবে বা চাওয়া শুধুমাত্রই কিন্তু এই নারী শরীরটির কাছে! আপনি নারী, আপনি এসব নানা ধরনের চাওয়া, (পড়ুন ‘চাহিদা’র) ঠিকমতো ’যোগান’ দিতে পারছেন না, তো আপনি একজন অযোগ্য এবং অকর্মণ্য!

এই চাহিদাগুলো কিন্তু সময়ের সাথে সমাজে পরিবর্তন হয়। যেমন আমাদের নানী-দাদীদের সময়ে, অথবা জ্ঞানী-গুণিদের জন্য বলা যায়, রবীন্দ্রনাথ কিংবা শরৎচন্দ্রের সময়ে কিন্তু এই নারীর সন্তান তৈরির কারখানাতে সন্তান হতেই থাকতো, এমনকি বড় সন্তানের বিয়ে দিয়ে তার সন্তান এবং মায়ের সন্তার একই সাথে হতো! মানে মামা-ভাগ্নে একসাথেই বড় হতো, তখন এটিই ‘স্বাভাবিক’ ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদাহরণ দিলাম, কারণ তাঁর নিজের বড় বোনের ছেলের সাথে তিনি বড় হয়েছেন! তার মানে সমাজ আপনাকে এও ঠিক করে দিচ্ছে ‘তাদের’ ইচ্ছেমতো যে কোনটা ‘স্বাভাবিক’ আর কোনটা ‘স্বাভাবিক’ নয়!!

এই ‘স্বাভাবিকীকরণ’ এরও সময়ের সাথে পরিবর্তন আসে, সেই সময়ের সবার মাথায় সেটা প্রোগ্রামিং করে দেয়া হয়, এর বাইরে আমরা কেউই আর কিছু চিন্তা করতে পারি না, শিখি না। শুধু পরিবর্তন আসে না, সেই নারী শরীরটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে, সেই নারী শরীরটির কাছে হাজারও চাওয়া-পাওয়ার (পড়ুন ডিমান্ড-সাপ্লাই) ক্ষেত্রে। ডিমান্ড একই থাকে, বদলায় কেবল ধরন কিংবা পরিবেশনা।

চিন্তা করে দেখুন, এই নারীর কিন্তু গর্ভধারণের আগে কিংবা পরেও তার নিজের শরীরটিও ওপর অধিকার থাকছে না। অর্থাৎ মিলিত হবার সময়ে বেশিরভাগ সময়েই পুরুষরা কনডম ব্যবহার করতে চায় না। এমনকি পুরো জীবনভরই তার শরীরের ওপর সমাজের অধিকার; তার পোশাক কী হবে, কখন কীভাবে কী করতে হবে, সবই! যেখানে একজন নারীর নিজের আস্ত একখানা ভিজিবল শরীরই নিজের অধিকারে নেই; সেখানে তার মন/মানসিক অবস্থা (যেটা দেখা যায় না) সেটার কথা তো ছেড়েই দিলাম। এই সাপ্লাই-ডিমান্ডের চক্করে পড়ে সেটা ছিবড়ে হয়ে যায়, তার মানসিক স্বাস্থ্য তাই বরাবরই হুমকির মখেই থাকে। মানসিক স্বাস্থ্য যখন প্রতি মুহূর্তে সারভাইভ করার লড়াই করতে থাকে, নারীর শরীরেও সেটা দ্বিগুণ প্রভাব ফেলে।

তার মানে দাঁড়ালো যে, গোটা একজন নারীর তার নিজের বলতে কিছুই নেই, বরং বলা ভালো যে, সবই নামে মাত্র। এই যখন পরিস্থিতি, তখন গর্ভপাত করবে কী করবে না, নারীর এই ’একান্ত’ বিষয়টিও আসলে আর ’একান্ত’ থাকে না! নীতি-নৈতিকতা, দর্শন, জীববিজ্ঞান, ধর্ম বা আইন – সবকিছুই এসে পড়ে গর্ভপাতের কথা উঠলে ৷ দেশ, সমাজ, এমনকি ধর্ম অনুযায়ী বিশ্বের সর্বত্র গর্ভপাত সংক্রান্ত আইনকানুন আলাদা ৷ অথচ গর্ভপাত এমন একটি বিভাজক প্রসঙ্গ যে, আইন করে দু’পক্ষকে ঠাণ্ডা করা চলে না: অ্যামেরিকায় যেমন ‘প্রো-লাইফ’ ও ‘প্রো-চয়েস’ পন্থিদের মধ্যে বিরোধ – সে এমন এক বিরোধ যে, তার জন্য চারজন চিকিৎসককে প্রাণ হারাতে হয়েছে৷ শুধু গর্ভপাত করে থাকেন বলে ডেভিড গান, জন ব্রিটন, বার্নেট স্টেপিয়ান ও জর্জ টিলার-কে হত্যা করা হয়েছে ১৯৯৩ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে৷

গর্ভপাতের প্রসঙ্গটির সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শের যে কতটা যোগ আছে বা থাকতে পারে, তার সেরা দৃষ্টান্ত হলো জার্মানি ৷ নাৎসি আমলে কোনো ‘এলিট’ নারীকে গর্ভপাত করতে সাহায্য করার শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দুই জার্মানিতে গর্ভপাত প্রথমে নিষিদ্ধ থাকে৷ শেষমেষ পূর্ব জার্মানি গর্ভধারণের দ্বাদশ সপ্তাহ অবধি গর্ভপাত বৈধ করে ১৯৭২ সালে, যা পশ্চিম জার্মানিতেও চালু হয় ১৯৭৬ সালে৷ দুই জার্মানির গর্ভপাত আইনের মধ্যে সমন্বয় ঘটে জার্মান পুনর্মিলনের পর, ১৯৯২ সালে, যখন গর্ভধারণের প্রথম তৃতীয়াংশে গর্ভপাতকে বৈধ করে; তবে তার পূর্বশর্ত হলো, সন্তানসম্ভবাকে ‘কাউন্সেলিং’ বা গর্ভপাত সম্পর্কে পরামর্শ নিতে হবে ও তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে৷

আবার জার্মানি, ইতালি, ফিনল্যান্ড–সহ কিছু দেশে গর্ভপাতের অনুমতি মেলে ঠিকই, কিন্তু ভারতের মতোই বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে। যেমন, সন্তান জন্মানোর পর মায়ের শারীরিক বা মানসিক বিপন্নতার আশঙ্কা থাকলে, হবু মায়ের জীবন বিপন্ন হলে, সন্তান জন্মানোর পর তার প্রতিবন্ধকতার আশঙ্কা থাকলে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়। গর্ভবতীর বয়স ১৪ বছরের কম হলেও আদালতের নির্দেশে গর্ভপাত হতে পারে। ডেনমার্কে আবার সামাজিক–অর্থনৈতিক অবস্থান সন্তান প্রতিপালনের পরিপন্থী হলে গর্ভপাত আইনসিদ্ধ। তবে এজন্য সরকারি অনুমতি লাগে। অন্তঃসত্ত্বার ইচ্ছা যে এসব ক্ষেত্রে প্রাধান্য পায় না কখনই। কাজেই দেখা যাচ্ছে, মুখে সভ্যতার বড়াই করা ইউরোপেও অন্ধকার কাটেনি।

একটি গবেষণার কাজে কোন একটি সরকারি হাসপাতালের ওটির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ভেতর থেকে দু’ধরনের চিৎকার ভেসে আসছিল। ‘রোগী‘র আর ডাক্তারের। আশেপাশের সবাই মুখ পাংশু করে দাঁড়িয়ে ছিল। তাদেরও সিরিয়াল রয়েছে।

‘হারামজাদী পেট বাঁধাবি, আবার চিৎকারও করবি!! খবরদার একটা শব্দ যেন না শুনি। পেট বাঁধানোর সময় তোদের মনে থাকে না?’

যাদের এসব বিষয়ে সুড়সুড়ানি রয়েছে, তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, সেই মেয়েটি ছিল বিবাহিত। এমনকি এধরনের বেশিরভাগ কেসেই তুলনামূলকভাবে বিবাহিতদের সংখ্যা বেশি থাকে। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তারা কেউই নিজের ইচ্ছায় গর্ভপাত করাতে আসেন না!! কারও স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির মানুষের প্ররোচনায়, কেউ বা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কিংবা মরতে মরতে বেঁচে গিয়ে গর্ভপাত করাতে আসে। মরতে মরতে বেঁচে গিয়ে কী রকম? একজনের স্বামী বললো, বাচ্চা নষ্ট করে ফেল; স্ত্রী বাচ্চা নষ্ট করতে চায় না। অনেক মারধোরের পরেও যখন ‘পেটের মাল খালাস’ করতে রাজী করানো যায়নি, তখন শাশুড়ি কী এক শিকড় খাইয়ে দিয়েছে! তারপর থেকেই মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে, রক্তে ভেসে যাচ্ছে! পড়িমরি করে হাসপাতালে এনে তুলেছে! এটি প্রতিদিনের ঘটনা। এর পোশাকি নামও রয়েছে, ফোর্সড অ্যাবরশন।

অনিরাপদ গর্ভপাতজনিত মাতৃমৃত্যু কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৪ সালে “মাসিক নিয়মিত করণ” – (Menstrual Regulation) সংক্ষেপে যা এম. আর. নামে পরিচিত এই পদ্ধতি চালু করে। মায়ের জীবন রক্ষা ছাড়া অন্য যেকোনো কারণে স্বপ্রনোদিত গর্ভপাতকে অবৈধ করা হয়েছিল। বাংলাদেশে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কেবলমাত্র এম. আর. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তার মাসিক বন্ধের ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মাসিক বন্ধের আট সপ্তাহ পর্যন্ত মাসিক নিয়মিতকরণ (Menstrual Regulation) সেবা দিতে পারবেন। এই সেবাটি অনুমোদিত। কিন্তু ঘটনা অন্যরকম। এই সেবাটি এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গর্ভপাত করানোর সেবার সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানারকম ক্লিনিকে এম আর সেবার নামের ছায়ায় ডাক্তার থেকে শুরু করে অনভিজ্ঞ আয়াও এই কাজ করে নারী শরীর এবং ভবিষ্যত মাতৃত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে। যখন কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে সম্ভব হয় না, তখন স্থানীয় পদ্ধতি ব্যবহার করতে পিছপা হয় না।

এই মেয়েটিই পরে যখন মা হতে পারবে না, তখন এই স্বামীটিই তাকে তাড়িয়ে ‘বংশের বাতি‘র খোঁজে আরেকটি বিয়ে করবে। আর সেই মেয়েটির পরিচয় হবে ‘বাঁজা’!! সমাজের কী নিষ্ঠুর খেয়াল! একজন ক্যারিয়ার যিনি কিনা গর্ভধারণ করছেন, তার শরীরের ওপর তার কোন হক নেই! তিনি সন্তান চান কি না চান, সেই ইচ্ছার কোন মূল্য নেই!! পিল খাও, কপারটি নাও, ইনজেকশন দিয়ে মাসিক বন্ধ রাখো, ইমপ্ল্যানন বা নরপ্ল্যান্ট করো, যত যত কষ্টকর পদ্ধতি আছে, সব নারী শরীরটার জন্য। আর কনডমটি আপনি শিশুদের দিয়ে দিতে পারেন, তারা সেটি ফুলিয়ে বেলুন বানিয়ে খেলুক!!

একজন নারী, তিনি নির্বাচন করবেন যে তিনি কোনটি চান। সন্তানটি চান নাকি চান না। মানুষ একদিকে বলে যে, গর্ভপাত করানো ঠিক না, অন্যদিকে আবার তাদের চিন্তাভাবনার জগতের সীমানার বাইরে গিয়ে যদি কাউকে গর্ভধারণ করতে দেখেন, তারাই রে রে করে তেড়ে আসেন। পাশাপাশি সরকারকেও কোন পদক্ষেপ নিতে হলে, তার সর্বোচ্চ ভোটদাতাদের কথা চিন্তায় রাখতে হয়, গোঁড়া বিশ্বাসীদের চিন্তায় রাখতে হয়। নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক ঠিক রাখার জন্য এরকম অনেক গোষ্ঠীকে গুরুত্বের সাথে চিন্তায় রাখতে গিয়ে প্রকৃত অর্থে যাকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন, যার জন্য এই আইনের প্রয়োজন, তারাই হারিয়ে যায়!! অর্থাৎ সেই নারী আর তার শরীরের ওপর আবারও আধিপত্য প্রতিষ্ঠা পায় রাষ্ট্রের দ্বারা!!

এভাবেই প্রতিদিন শত শত মাতৃত্বের অপমৃত্যু ঘটে, ইচ্ছার অপমৃত্যু। একজন সন্তানকে আপনি কেমন পৃথিবীতে আনতে চান সেটি কিন্তু আপনার হাতে। সঠিক পরিবেশে সন্তানকে আপনি মানুষ করতে পারবেন না, সেটি কিন্তু কাম্য নয়। আপনি বলবেন, কারও স্বামী চলে গেলে বা একজন অবিবাহিত মেয়ে গর্ভধারণ করলে উপায় কী? সেটি তার ওপর ছাড়ুন না কেন? সে এই দায়িত্ব নিতে পারবে কিনা, সেটি তাকে নির্বাচন করতে দিন!! তিনি যদি বিশ্বাস করেন যে, কঠিন সমাজ ব্যবস্থার মাঝে থেকেও তিনি একা এই লড়াই লড়তে পারবেন, তবে আমি বা আপনি কেউ না তাকে বাঁধা দেয়ার। একজন নারীর নিজের ওপর নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে অন্যান্য অধিকারগুলো নেহাৎ ঠুনকো!

শরীরটা তার, তাই তাকেই নাহয় সিদ্ধান্ত নেবার স্বাধীনতা ও অধিকারটুকু দিন।

লেখক: ঈশিতা বিনতে শিরীন নজরুল
নৃবিজ্ঞানী, গবেষক ও অনলাইন লেখক
জার্মানী

শেয়ার করুন: