উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: ‘ফেলানীর হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমীয় ঘোষকে আমি চিনতে পেরেছি’- বললেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার বিকেলে কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি সদর দফতরের সামনে এক সংবাদ ব্রিফিং এ তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে তিন ঘণ্টা ধরে জেরা করেছে। তাঁরা নানাভাবে চেষ্টা করেছে যেন আমি ভুল বলি। আমি সব জবাবই সঠিকভাবে দিয়েছি। পবিত্র কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে মৃত মেয়ের শপথ করে সত্য জবানবন্দি দিয়েছি।’
ভারতের আদালতে নির্ভয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন উল্লেখ করে ফেলানীর বাবা আরও বলেন, সবকিছু বলেছি, কিভাবে আমার চোখের সামনে আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তারপর কিভাবে গরু ছাগলের মত টেনে নিয়ে গেছে।
পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন বলেন, ফেলানীর বাবা ও মামা সাক্ষ্য দিয়েছেন। আশা করছি আমরা ন্যায় বিচার পাবো।
এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। আজ মঙ্গলবার সীমান্তবর্তী ভারতীয় দুই নাগরিক সাক্ষ্য দিয়েছে।
পাঁচ সদস্যের বিচারকের বিশেষ আদালতে কঠোর গোপনীয়তায় এ বিচার কাজ চলছে। বিচারকার্যের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আসাম ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি সিপি ত্রিবেদী।
অমিয় ঘোষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় (অনিচ্ছাকৃত খুন) এবং বিএসএফ আইনের ৪৬ ও ৪৭ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী ভারত থেকে বাবার সঙ্গে কুড়িগ্রাম নিজ বাড়ি ফেরার পথে অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়।