উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: বিকল্প শিশুখাদ্য হিসেবে ‘বানিজ্যিকভাবে উৎপাদিত’ গুড়োদুধ বা যে কোন শিশুখাধ্যে শিশুর কোন ক্ষতি হলে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
‘মাতৃদুগ্ধ বিকল্প শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও তা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ, ইত্যাদি)’ সংক্রান্ত এক বিলে শাস্তির বিধান যুক্ত করার এ সুপারিশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিলটি নিয়ে আলোচনায় এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, বিকল্প শিশুখাদ্যে কোনো শিশুর ক্ষতি হলে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কোনো আইন পূর্বে ছিল না। এমন ঘটনায় কে দায়ী থাকবে সেটাও স্পষ্ট ছিলো না।
তিনি বলেন, “এ কারণে কমিটির প্রচলিত দণ্ডবিধি অনুযায়ী জরিমানা, ক্ষতিপূরণ আদায়সহ অন্যান্য শাস্তির বিধান বিলে যোগ করতে বলেছে।”
বিকল্প শিশুখাদ্যের প্রচারে কড়াকড়ি আরোপ করে গত ১৬ জুলাই জাতীয় সংসদে উত্থাপিত এই বিলটি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
প্রস্তাবিত আইনে বিকল্প শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করা শিশুর বাড়তি খাদ্য এবং এসব খাদ্য ব্যবহারের সরঞ্জাম নিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়াও বিকল্প শিশুখাদ্যের বিক্রয় বাড়াতে সকল ধরণের উপহার বা মূল্যছাড়; সভা-সেমিনারের আয়োজন, শিশুদের জন্য প্রতিযোগিতা বা অনুষ্ঠানের আয়োজনও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।
এধরণের কোন খাদ্যের মোড়কে শিশু বা মায়ের ছবি ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।
এ আইন লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমেও এসব অপরাধের বিচার করা যাবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহামান ফকির, মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, জেড আই এম মোস্তফা আলী এবং আমানুর রহমান খান রানা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম।