উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: বিচার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরেছে ফেলানীর বাবা ও মামাসহ চার সদস্যের প্রতিনিধি দল।
সোমবার ভারতে বিএসএফের বিশেষ আদালতে কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানী হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার শেষে বিএসএফ এর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোচবিহার থেকে এ প্রতিনিধি দল আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করে।
দুপুর ১টায় তারা লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে তারা বাংলাদেশে পৌঁছান। বাংলাদেশে পৌঁছানোর পরে বিজিবি ফেলানীর বাবা ও মামাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়।
বাংলাদেশ থেকে মমলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি দলে ছিলেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মামা আব্দুল হানিফ, কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউল হক খালেদ এবং কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন।
বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আব্রাহাম লিংকন সাংবাদিকদের জানান, প্রত্যক্ষ সাক্ষী ফেলানীর বাবা ও মামা ভারতীয় আদালতে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরেন।
এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। আজ মঙ্গলবার সীমান্তবর্তী ভারতীয় দুই নাগরিকের সাক্ষ্য নেয়া হচ্ছে।
১৩ অগাস্ট শুরু হওয়া আলোচিত ফেলানী হত্যা মামলায় সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন এবং সর্বনিম্ন সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
পাঁচ সদস্যের বিচারকের বিশেষ আদালতে কঠোর গোপনীয়তায় এ বিচার কাজ চলছে। বিচারকার্যের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আসাম ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি সিপি ত্রিবেদী।
১৩ অগাস্ট বিচারের প্রথম দিনে মামলার নথিপত্র জমাসহ মূল আসামি বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের জবানবন্দি নেয়া হয়।
অমিয় ঘোষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় (অনিচ্ছাকৃত খুন) এবং বিএসএফ আইনের ৪৬ ও ৪৭ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী ভারত থেকে বাবার সঙ্গে কুড়িগ্রাম নিজ বাড়ি ফেরার পথে অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়।