উইমেন চ্যাপ্টার: ‘মায়ের দুধে শিশুর হাসি, মা তোমাকে ভালবাসি’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবছর ২১ আগস্ট পালিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস। ইংরেজিতে দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘ব্রেস্ট ফিডিং সাপোর্ট: ক্লোজ টু মাদার্স’।
সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ালে ৩১ শতাংশ নবজাতকের মৃত্যুর হার রোধ করা যায়। ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়ালে অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশু মৃত্যু ১৩ শতাংশ এবং ছয় মাসের পর মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পরিপূরক খাবার খাওয়ালে আরও ছয় শতাংশ শিশুমৃত্যু রোধ করা যায়।
বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক হেলথ সার্ভের (বিডিএইচএস) তথ্য তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে ৪৭ শতাংশ নবজাতককে জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মাতৃদুগ্ধ দেয়া হয় এবং ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের শুধুমাত্র মায়ের দুধ পান করানো হয় ৬৪ শতাংশ। ২০০৭ সালের পর তা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া দুই বছর পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়ানোর উচ্চহার ৯৩ বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পানের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ বর্তমানে ভাল অবস্থানে (নীল রং), অর্থাৎ দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, ২০১১ সাল পর্যন্ত দেশের ৬০০টি হাসপাতালের মধ্যে ৪৯৯টি হাসপাতালকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুবান্ধব হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো হাসপাতালকে পুনরায় শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বর্তমানে ৬৩টি হাসপাতাল/উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে পুনরুজ্জীবিত করা হচ্ছে। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকীগুলোকেও পুনরুজ্জীবিত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতি বছর ১ থেকে ৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করা হলেও এবার ২১ আগস্ট বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন (বিবিএফ)।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী মুজিবুর রহমান ফকির, স্বাস্থ্যসচিব এম এন নিয়াজউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।