উইমেন চ্যাপ্টার ডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগ আইনে শাস্তির পরিমাণ বাড়িয়ে আইনটির সংশোধন অধ্যাদেশ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের সাথে বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ আইনে শাস্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে ন্যূনতম ৭ বছর এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
২০০৬ সালের পাস হওয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজার বিধান ছিল।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ‘অপপ্রয়োগ’ রুখতেই এ অধ্যাদেশ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আগের আইনে কিছু অপরাধ নন-কগনিজেবল ছিল। কিন্ত নতুন আইনে এটি হবে কগনিজেবল অর্থাৎ ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।”
এছাড়াও আগে শাস্তির পরিমান অপর্যাপ্ত ও অস্পষ্ট ছিলো বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বর্তমান আইনে যা যা নতুন আছে:
•আগের আইনে মামলা করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেয়া লাগলেও নতুন আইনে পুলিশ অপরাধ আমলে নিয়ে মামলা করতে পারবে।
•নতুন আইনে কিছু অপরাধ জামিন অযোগ্য করা হয়েছে।
•ব্যক্তিগতভাবে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রচলিত আইনেও মামলা করার বিধান থাকছে।
•‘খারাপ’ উদ্দেশ্য নিয়ে তথ্য নষ্ট করা, অনুমতি ছাড়া ডেটা হস্তান্তর, হ্যাকিং, ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে অশ্লীল ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশের মতো অপরাধ এ আইনের আওতায় পড়বে।
ব্লগার মশিউর রহমান বিপ্লব, সুব্রত অধিকারী শুভ, রাসেল পারভেজ ও আসিফ মহীউদ্দিন; আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান শুভ্রকে এ আইনের মামলাতেই গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সচিব জানান, এ আইনের আরো পর্যালোচনা বা সংশোধন প্রয়োজন হলে শিগগিরই তা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।