উইমেন চ্যাপ্টার: তোষা পাটের পর এবার দেশি পাটের জিনোম সিকোয়েন্স বা জন্মরহস্য জানতে পেরেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। আজ বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সাফল্যের কথা ঘোষণা করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে উপস্থিত ছিলেন এই গবেষণায় নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তোষা পাটের সঙ্গে দেশি পাটের জীবনরহস্য উন্মোচনের কাজও আমাদের বিজ্ঞানীরা শেষ করেছেন। পাটের জিনোমের পূর্ণাঙ্গ তথ্য এখন আমাদেরই হাতে’।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক মাকসুদুল আলম বলেন, ‘এখন বিশ্বে যেখানে পাট নিয়ে যে গবেষণাই হোক, কেউ আর আমাদের অবহেলা করতে পারবে না। পাটের সমস্ত রহস্য এখন আমাদের হাতে। কেউ পাট নামটা উচ্চারণ করলেই এখন বাংলাদেশের নামটাও চলে আসে। গবেষণার সার্বিক অগ্রগতি জানতে সোমবার সকাল ১০টায় তার গবেষণা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান মাকসুদুল আলম।
এর আগে প্রথমবারের মতো তোষা পাটের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করে বিশ্বে সাড়া ফেলে দেন এই বিজ্ঞানী ও তার সহকর্মীরা। এরপর তারা উন্মোচন করেন ম্যাক্রোফমিনা ফাসিওলিনা নামের এক ছত্রাকের জিন-নকশা, যা পাটসহ প্রায় ৫০০টি উদ্ভিদের স্বাভাবিক বিকাশে বাধা দেয়।
রাজনীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সংবিধানে বিশ্বাস করি, জনগণ ভোট দিয়েছে, যা হবে, সংবিধান মোতাবেক হবে, তার থেকে একচুলও নড়চড় হবে না। এই সরকারের মেয়াদ শেষে নির্দ্দিষ্ট সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে’। ২৫ অক্টোবর সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া হলে কোন সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে না বলেও তিনি জোরারোপ করেন। বলেন, সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া তো কোন না কোন সময় শুরু করতে হবে।
পদ্মা সেতু নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে দিয়েছে সরকার। নিজেদের অর্থেই এই সেতু নির্মাণ করা হবে।
সরকারি বাসভবন গণভবনে বিকেল চারটা ১০ মিনিটে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি, বিমানমন্ত্রী ফারুক খান, পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এসময় উপস্থিত ছিলেন।